এমপি হতে’ বিকল্পধারায় যোগ দিলেন এম.এম শাহীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য হতেই বিএনপি ছেড়ে বিকল্পধারায় যোগ দিয়েছেন মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা এম.এম শাহীন।
বৃহষ্পতিবার বিকেলে বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে তিনি যোগদান করেন। এসময় দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
শাহীনের ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, আসন্ন নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট-বিএনপি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করায় মৌলভীবাজার-২ আসনে ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুলতান মনুসরকে মানোনয় দিচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট। একারনেই বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এম.এম শাহীন বিকল্পধারায় যোগ দিয়েছেন। আর যেহেতু বিল্পধারা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে যোগ দিয়েছে তাই তিনি এ আসনটিতে মহাজোটের প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চান।
এদিকে, শাহীনের বিকল্পধারায় যোগদানের কারনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের তাঁর অনুসারী নেতাকর্মীরা পড়েছেন বেশ বেকায়দায়। এখন কি করবেন সে বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্যা টাউন’। আর মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার খবরে তার অনুসারী বিএনপি নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নেতাকর্মীদের অনেকেই এ ব্যাপারে সরাসরি মুখ খুলতে নারাজ হলেও তাদের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, তিনি যদি আগের মতই স্বতন্ত্র প্রার্থী হতেন তাহলে হয়তো তাকে সমর্থন দিতে পারতাম। কিন্তু তিনি মহাজোটের প্রার্থী হলে তাঁর পক্ষে কাজ করা দলীয় আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক।
আর বিকল্পধারায় যোগদানের ঠিক একদিন আগে বুধবার কুলাউড়াস্থ উনার নিজ বাসভবন প্রাঙ্গণে তার অনুসারী বিএনপির একাংশের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন।
এ সময় এম এম শাহীন বলেন, বিএনপি আমার সাথে আলাপ না করে আওয়ামী রাজনীতির জড়িত ড. কামালের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়ার চেষ্টা করছে। চলতি বছরের মে মাসে দলীয় হাইকমান্ড থেকে নিজ নির্বাচনী এলাকায় কাজ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। অথচ আমাকে ও আমার নেতাকর্মীদের সাথে কোন কথা না বলেই ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ওই নেতা (সুলতান মনসুর) কে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়ার চিন্তা করছে। বিষয়টি আমি জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব সদুত্তোর দেননি। উনি জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে, মুজিব কোট পরে শহীদ জিয়ার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন সেটা মেনে নেয়া যায় না।
বিএনপির একাংশের সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ান খান বলেন, আমাদের সাথে উনার যে মতবিনিময় হয়েছে সেখানে আমরা তাকে দলীয় মনোনয়ন কেনার জন্য বলেছি। উনি দলবদল করেছেন, সেটা উনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমরা কুলাউড়া বিএনপির নেতাকর্মীর এই নির্বাচনে বর্তমানে ঐক্যফ্রন্ট থেকে যে ধানের শীষ নিয়ে আসবেন তাঁর পক্ষে কাজ করে যাবো।