চিপস দিয়ে অপহরণ করে, পাঁচ বছরের বোনের তথ্যে মিলল বিক্রি হওয়া ছোট ভাই।
পাঁচ বছর বয়সী বোনের তথ্যে চুরি হওয়া ছোট ভাইকে উদ্ধার করা হয়েছে কুমিল্লা থেকে, রাজধানীর হাজারীবাগে এক সপ্তাহ আগে আড়াই বছরের শিশু তাওসীম নিখোঁজ হয়, পুলিশের তদন্তে জানা যায়, ৫০ হাজার টাকায় তাকে বিক্রি করেছে এক নারী, পরে ওই নারীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, আগাম টাকা নিয়ে শিশু বেচাকেনায় সক্রিয় একটি চক্র,।
গত ২১ মার্চ রাজধানীর হাজারীবাগে বাসার সামনেই খেলছিলো দুই ভাই-বোন। সেখানে আসে বোরখা পড়া এক নারী। পাঁচবছর বয়সী তাবাসসুমের হাতে চিপসের প্যাকেট দিয়ে সখ্য গড়ে। এরপর, প্রায় আড়াই বছরবয়সী ছোট ভাই তাওসীমকে নিয়ে পালিয়ে যায়,।
পরে ছেলেকে ফিরে পেতে মামলা করেন স্বপ্না বেগম ও নুরুল ইসলাম,।
নুরুল ইসলাম ঘটনার বর্ননা দিয়ে বলেন, ‘একটা চিপস কিনে দিয়েছে। এরপর আমার মেয়ে বলেছে, আমার ভাইকে ফিরিয়ে দেন,। বাসা যাবে না? তখন বলে যে না তুমি যাও, তোমার ভাইকে আমরা বাসায় দিয়ে আসব,।
মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। শুরু হয় আশেপাশের সড়কের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ। এতে বোরকা পরা ওই নারীকে দেখা যায় দোকানে মোবাইল ফোন রিচার্জ করতে। সেই সূত্র ধরে দোকান থেকে পাওয়া ফোন নম্বর ধরে চলে গোয়েন্দাদের অনুসন্ধান। পরে অভিযানে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হয় সুলতানা আক্তার নেহা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, ৫০ হাজার টাকায় তাওসিনকে সিএনজি অটোরিকশা চালকে কাছে বিক্রি করে সে,।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘এই যে অপহরণকারী চক্র। এদের কাছে বিভিন্ন মানুষ বলে থাকে যে আমার একটা বাচ্চা লাগবে। ছেলে অথবা মেয়ে বাচ্চা লাগবে। তখন তারা ঢাকার বিভিন্ন বস্তি এলাকায় ঘুরে ঘুরে বাচ্চা সংগ্রহ করে বিক্রি করে দেয়,।
গ্রেপ্তার নেহার তথ্যে কুমিল্লা থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। গ্রেপ্তার করা হয় সিএনজি চালক শাহজাহানকে,।
হারুন অর রশিদ বলেন, ‘যারা চুরি করেন তারা তো অপরাধীই, ভয়ংকর অপরাধী। কিন্তু যারা কেনেন, নিজের সন্তান নাই বলে কেনেন, তারাও তো অপরাধী। তারা কিনবেন কেন? কারণ তারও তো বোঝা উচিৎ এই বাচ্চাটা কারো না কারো ছেলে বা মেয়ে,।
এই চক্রের সাথে আর কারা জড়িত রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ,।