তরুণ তরুণীদের ভিড় ঈদের ছুটিতে জাফলংয়ে
পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল পর্যটন কেন্দ্র জাফলং। দীর্ঘ একমাস পর্যটনে ভাটা পড়ার পর অবশেষে হাসি ফুটেছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, পুরো রমজান মাস জাফলং পর্যটন স্পটে তেমন কোনো পর্যটক আসেন নি। দর্শনার্থীর সেই খরা কেটে ঈদের দিনেই ঢল নেমেছে ভ্রমণপিপাসুদের। দেশের বেশিরভাগ মানুষ বেড়ানোর জায়গা হিসেবে সিলেটকে বেছে নেন।
তার মধ্যে অন্যতম হলো সিলেটের পর্যটনের নগরি গর্ভধারিণী গোয়াইনঘাট উপজেলা।বিশেষ দিনে ও টানা ছুটিতে এখানে পাহাড়-সমুদ্র, নদী ও ঝরনা দেখতে পর্যটকদের ভিড় জমে। প্রতিবছরের মতো এবারও দীর্ঘ ছুটিতে তাই ঈদের দিনই প্রকৃতি কন্যা জাফলং পর্যটন স্পটে ছুটে গিয়েছেন ভ্রমণপিপাসুরা। এর আগে ঈদকে সামনে রেখে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে রমজান মাসজুড়ে হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস ও রিসোর্টগুলো নান্দনিক সাজে সজ্জিত করা হয়। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদের দিন থেকে হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁর পাশাপাশি অধিকাংশ দোকানপাটও খুলেছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই পর্যটকরা আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় পুরো এলাকা। এদের দীর্ঘ ছুটিতে প্রকৃতির পাশে এসে প্রকৃতি প্রেমীরা তৃপ্তিতে আনন্দে সময় কাটিয়ে সবুজ প্রকৃতির সাথে মিতালী গড়ে তুলছেন।
পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে পর্যটন স্থানগুলোতে ঘুরে বেড়ান তাঁরা। প্রকৃতির কাছাকাছি আসতে পেরে ও প্রকৃতির রূপ উপভোগ করতে পেরে খুশি তাঁরা। দর্শনার্থীদের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছিলেন তরুণ-তরুণী। স্বচ্ছ জল আর ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়ের দৃশ্য দেখার পাশাপাশি এখানকার খাসিয়া পল্লীও আকৃষ্ট করে ভ্রমণপিয়াসীদের।
সিএনজি, ইমা, লেগুনা, ডিআই, নুহা,দূরপাল্লার বাস প্রাইভেট কার সহ ডিজে গানের তালে তালে নৃত্য করে, বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে পর্যটন স্পটগুলোতে আসছেন দর্শনার্থীরা।
জাফলং টুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ ইউনিটের ওসি রতন শেখ বলেন, স্থানীয়দের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সারাদেশের পর্যটকরা জাফলংয়ে আসতে থাকেন। শুক্রবার থেকে পর্যটকদের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে হয়েছে। বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
এদিকে আগত পর্যটকরা নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা করতে পারে তার জন্য গোয়াইনঘাট উপজেলা ও থানা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।