Sobujbangla.com | কড়া নিরাপত্তায় রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল করেছে শিয়া মতাবলম্বী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা
News Head

কড়া নিরাপত্তায় রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল করেছে শিয়া মতাবলম্বী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা

  |  ১৯:৪৭, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮

কড়া নিরাপত্তায় রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল করেছে শিয়া মতাবলম্বী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর পুরান ঢাকার হোসনি দালান থেকে বের হয়ে তাজিয়া মিছিলটি বকশিবাজার, আজিমপুর, নিউমার্কেট হয়ে ধানমন্ডি লেকে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অংশ নেন হাজারো শিয়া মতাবলম্বী। তবে এবারের তাজিয়া মিছিলে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল।

হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম, এই দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেইন (রা.) এবং তাঁর অনুসারীরা ইরাকের ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদের অনুগত বাহিনীর হাতে শহীদ হন। সেই থেকে দিনটি মুসলমানদের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে শোকাবহ এ দিনটি পালনের জন্য সকাল ১০টার পর রাজধানীর হোসেনী দালান থেকে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার শোক স্মরণে তাজিয়া মিছিল শুরু হয়। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনিতে মিছিল সমন্বয়ের মূল দায়িত্ব পালন করে হোসেনী দালান ইমামবাড়া ম্যানেজমেন্ট কমিটি।

তাজিয়া মিছিল সাজানো হয় কারবালার শোকের নানা প্রতিকৃতি দিয়ে। বিবি ফাতেমার স্মরণে মিছিলের শুরুতেই ছিল দু’টি কালো গম্বুজ। বহন করা হয় বিভিন্ন নিশান। আর তাজিয়া তৈরি করা হয় ইমাম হোসেনের সমাধির আদলে। মিছিলে দু’টি ঘোড়াও রাখা হয় কারবালার শোকাবহ স্মৃতি স্মরণে।

একদল শোকের গান গাইতে গাইতে অনেকে বুক চাপড়ে হায় হোসেন, হায় হোসেন বলে মাতম করেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে এবার ছুরি দিয়ে মাতম নিষিদ্ধ করা হয়। ২০১৫ সালের ২৪ অক্টোবর আশুরা উপলক্ষে হোসনি দালানে শোক মিছিলের প্রস্তুতিতে গ্রেনেড হামলার পর থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে, সব শোক পেছনে ফেলে বুকের ক্ষতে সান্ত্বনার শক্তিকে ধারণ ত্যাগ ও শোকের মিছিলে শরিক লাখো শিয়া জনতা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ