Sobujbangla.com | বাংলাদেশের সব বৈধ এজেন্টই মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে পারবেন: মাহাথির
News Head

বাংলাদেশের সব বৈধ এজেন্টই মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে পারবেন: মাহাথির

  |  ২০:৩৪, আগস্ট ১৪, ২০১৮

বাংলাদেশের ১০ এজেন্টের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানিতে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায়, এ প্রক্রিয়া স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন, দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। জানান, বাংলাদেশের সব বৈধ এজেন্টই মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে পারবেন। মাহাথির জানান, জনশক্তি আমদানির ক্ষেত্রে শিগগিরই অভিন্ন পদ্ধতি চালু করা হবে।

২০১৬ সালে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে ঢাকা-কুয়ালালামপুরের মধ্যে ‘জি টু জি প্লাস’ সমঝোতা স্মারক সই হয়। এজন্য বাংলাদেশের ১০টি এজেন্সিকে নির্ধারিত করে দেয়, মালয় সরকার। এরআগে যেকোন রিক্রুটিং এজেন্সি লোক পাঠাতে পারত মালয়েশিয়ায়।

সম্প্রতি একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে মালয়েশিয়ার পত্রিকা দ্য স্টার। যাতে বলা হয়, বাংলাদেশি এক ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে মানব পাচারের সংঘবদ্ধ চক্র, গত দুই বছরে এক লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী পাঠিয়েছে মালয়েশিয়ায়। চক্রটি তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়, প্রায় ৪ হাজার ২১৮ কোটি টাকা। দ্য স্টারের দাবি, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে স্থানীয় দালালকে জনপ্রতি ২০ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বা সোয়া ৪ লাখ টাকা দিতে হয়। অথচ রিক্রুটিং এজেন্টদের খরচ ২ হাজার রিঙ্গিতেরও কম।

এ অবস্থায়, বাংলাদেশের সব বৈধ এজেন্টের জন্যই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলে দেয়ার ঘোষণা দিলেন, সেদেশের প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানিতে দশ এজেন্সির একক আধিপত্য চলছে। শ্রমিক আমদানির এ প্রক্রিয়ায় সিন্ডিকেট গড়ে ওঠায় তৈরি হয়েছে মনোপলি। তাই, আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে, সব বৈধ এজেন্টের জন্য শ্রমবাজার খুলে দেব।’

এর আগে গেল জুনে সংঘবদ্ধ চক্রের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় অভিবাসী কর্মীদের পাঠানোর চলতি পদ্ধতি বন্ধের ঘোষণা দেয়, মালয়েশিয়া।

২০১৬ সালের শেষ দিকে শুরু হওয়া পদ্ধতিতে, ১ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি গেছেন মালয়েশিয়ায়। আরও এক লাখ যাওয়ার অপেক্ষায়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ