চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের হাতে বিসিবির চেক।
গত বছর সেপ্টেম্বরে সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। সেবার দক্ষিণ এশিয়া জয়ী মেয়েদের ছাদখোলা বাসে বরণ করে নেয় দেশবাসী। এমন ঐতিহাসিক অর্জনের পর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তির সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) সাফ চ্যাম্পিয়নদের জন্য আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দেয়। দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস পর বিসিবির ঘোষণা করা সে ৫০ লাখ টাকা টাকার চেক অবশেষে হাতে উঠল সাবিনা-কৃষ্ণাদের। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিসিবির কার্যালয়ে খেলোয়াড়, কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের একজন প্রতিনিধি এসে চেক গ্রহণ করেন। পূর্বঘোষিত পুরস্কার থেকে সমন্বয়ের জন্য বিসিবি ১ লাখ টাকা বাড়িয়ে মোট ৫১ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার দিয়েছে। বিসিবির বোর্ড রুমে তাদের হাতে চেক তুলে দেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। ঘোষণানুযায়ী অক্টোবরে নারী ফুটবল দলের প্রত্যেকের নামে আলাদা চেক ইস্যু করে বিসিবি। তবে বাফুফের উদাসীনতায় বিসিবি ঘোষিত অর্থ মেয়েদের হাতে বুঝিয়ে দিতে পারেনি। এ নিয়ে সম্প্রতি সালাউদ্দিন প্রশ্ন তোলেন। বিসিবি কেন টাকা দিচ্ছে না, জানা নেই দাবি করেন। এরপর বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দাবি করেন, সমন্বয় করছে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ায় অধিনায়ক সাবিনা পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা। সেরা গোলদাতা হওয়ায় রুপনা চাকমা পেয়েছেন ৩ লাখ টাকা। প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন পেয়েছেন তিন লাখ টাকা। এর বাইরে একাদশে নিয়মিত খেলা ১৮জন ২ লাখ করে, বদলি হিসেবে নামা ৬জন দেড় লাখ করে এবং স্কোয়াডে থেকেও সেভাবে খেলার সুযোগ না পাওয়া ৬জন পেয়েছেন ১ লাখ টাকা করে। সহকারী কোচ এবং কর্মকর্তারা প্রত্যেকে পেয়েছেন ১ লাখ টাকা করে। দলের সদস্য হয়েও কাঠমান্ডুতে না যাওয়ায় টিম লিডার জাকির হোসেন চৌধুরী ও সহকারী ম্যানেজার টিপু সুলতানকে অর্থ পুরস্কার দেয়নি বিসিবি।