নোয়াখালী পৌর নির্বাচনে জামানত হারালেন ৫ মেয়র প্রার্থী
নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে ৭ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৫ জন প্রার্থী। যার মধ্যে রয়েছেন বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের ভাই স্বতন্ত্র (আ.লীগ বিদ্রোহী) মোবাইল প্রতিকের প্রার্থী লুৎপুল হায়দার লেলিন। জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া পাঁচজন প্রার্থী সবকেন্দ্রে মিলে মোট গ্রহণ (কাস্ট) হওয়া ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোটও পাননি। সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটাণিং কর্মকর্তা জুলকার নাঈম। তিনি বলেন, ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পৌরসভার ৩৪টি কেন্দ্রে ৩৯হাজার ৮২২ ভোট কাস্টিং হয়। যার থেকে ৬৯ ভোট বাতিল হওয়ার পর ৩৯হাজার ৭৫৩ ভোট বৈধ হয়। এর মধ্যে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মো. সহিদ উল্যাহ্ খান সোহেল ২৬ হাজার ৪০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ধন্দ্বি প্রার্থী শহিদুল ইসলাম কিরণ কম্পিউটার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ৬২৮ ভোট। আর মোবাইল প্রতীক নিয়ে লুৎফুল হায়দার লেলিন পেয়েছেন ২২৪৪ ভোট, নারিকেল গাছ প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু নাছের পেয়েছেন ১১১৭ ভোট, হাতপাখা প্রতিক নিয়ে মো. শহীদুল ইসলাম ৯৫০ ভোট, জগ প্রতিকের প্রার্থী মো. কাজী আনোয়ার হোসেন ২২৭ ভোট এবং জাপা প্রার্থী মো. সামছুল ইসলাম মজনু লাঙল প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১৭৯ ভোট। তিনি আরও বলেন, সবগুলো কেন্দ্রের মোট কাস্টিং হওয়া ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ প্রায় ৪৯৬৯ ভোট পাওয়া মেয়র প্রার্থীদের জামানত বৈধ। কিন্তু ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে নৌকা ও কম্পিউটার প্রতিকের প্রার্থী ছাড়া বাকি পাঁচজন ৪৯৬৯ ভোটের কম পেয়েছেন। তাই তাদের জমাকৃত সিকিউরিটিমানি (জামানত) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে গত সোমবার দুপুরে নোয়াখালী আসেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের উচ্চমান সহকারি মাহফুজুর রহমান‘সহ চারজনের একটি প্রতিনিধি দল। ওইদিন সন্ধ্যায় নোয়াখালী কালেক্টরেট সহকারি সমিতির কার্যালয়ে সদস্যদের সাথে বৈঠক করে জেলা সার্কিট হাউজে রাতযাপন করেন তারা। পরদিন মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারীদের বাসায় বাসায় গিয়ে ভোটের প্রচারণায় অংশ নেয়ার কথা ছিল তাদের পরিকল্পনায়। পরবর্তীতে বিষয়টি গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচার হলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।