নারায়ণগঞ্জে বৈধ অস্ত্র বহনে নিষেধাজ্ঞা
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ১৪ থেকে ১৮ জানুয়ারি পাঁচ দিন সবধরনের বৈধ অস্ত্র বহন ও অস্ত্র প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসক কার্যলয়ের (আগ্নেয়াস্ত্র শাখা) থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, সিটি নির্বাচনের জন্য ১৪ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ১৮ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত পাঁচ দিন বৈধ অস্ত্র বহন ও অস্ত্র প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যাদের ব্যক্তিগত বৈধ অস্ত্র রয়েছে তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি, আধা সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর-প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনাতে নিয়োজিত নিরাপত্তাপ্রহরী এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাইন বিল্লাহ স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ওই পাঁচ দিন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার সব লাইসেন্সধারী অস্ত্র মালিকদের অস্ত্রসহ চলাফেরা করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। আদেশ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও অস্ত্র প্রদর্শনের নীতিমালা অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে নারায়ণগঞ্জে দ্বিতীয় ও চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানির বিষয়টি ব্যাপক আলোচনায় ছিল। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এম. সাইফ উল্লাহ বাদলের ছেলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীকে রিভলবারের বাট দিয়ে আঘাত করার অভিযোগে মামলা হয়। এছাড়া চতুর্থ ধাপের ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অস্ত্র উঁচিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে ভিডিওর সেই যুবককে আটকও করে পুলিশ। ১৬ জানুয়ারি সিটি নির্বাচনে যত্রতত্র অস্ত্র ব্যবহার ও আতঙ্ক সৃষ্টি হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাইন বিল্লাহ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা পুলিশ ও র্যাবকে নির্দেশনা দিয়েছি অবৈধ অস্ত্র যাদের কাছে আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। যারা চিহ্নিত অপরাধী কিংবা যারা নির্বাচনে নিরপেক্ষতা নষ্ট করতে পারে এমন ব্যক্তিদের বিষয়টি মাথায় রেখে ইতিমধ্যে মহানগরজুড়ে অভিযান শুরু হয়েছে। পুলিশ এবং র্যাবের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।