Sobujbangla.com | সিলেটে ‘ঝুলে আছে’ অর্ধলক্ষাধিক মামলা
News Head

সিলেটে ‘ঝুলে আছে’ অর্ধলক্ষাধিক মামলা

  |  ১৮:২৬, জানুয়ারি ০৩, ২০২২

আদালত ও জনবল সংকট এবং সাক্ষীদের অনুপস্থিতিসহ নানা জটিলতায় সিলেট জেলায় বিভিন্ন পর্যায়ের ২২টি আদালতে ঝুলে আছে বিচারাধীন অর্ধলক্ষাধিক মামলা। অধিকাংশ মামলার বিচারিক সময় কয়েক বছর পার হলেও তা সুরাহা হয়নি। ফলে বিচারপ্রার্থীরা হয়রানি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবে আদালত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এসব মামলার জট কমাতে হলে কোর্টের সংখ্যা, জনবল এবং সাক্ষীদের উপস্থিতি বাড়াতে হবে। আদালত সূত্র জানায়, সিলেট জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের ২২টি আদালত রয়েছে। এসব আদালতে গত অক্টোবর মাসের শেষেই বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ৭২টি। যার ২৪ হাজার ২১২টি মামলা দেওয়ানি ও ৫ হাজার ৮৬০টি ফৌজদারি। একইভাবে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১২টি আদালতে মিলে ১১ হাজার ১০১টি। সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালত সুত্রে জানা যায়, গত অক্টোবর শেষে মাত্র চারটি আদালত মিলে মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৬৬৪টি। আর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারিক ও আমলি আদালত মিলে মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৯ হাজার ৭৯০টি। সব মিলে সিলেটের বিভিন্ন আদালতে অক্টোবর মাসের শেষে মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৫৬ হাজার ৬২৭টি। এছাড়াও অক্টোবর শেষে জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালে ৫২৩টি, ডিসেম্বর মাসের ৮ তারিখ সাইবার দমন ট্রাইব্যুনাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ১৬৫টি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নভেম্বর মাস শেষে বিচারাধীন মামলা ছিল ছয়শ’টির অধিক। এর বাইরেও সকল ট্রাইব্যুনালে বিভিন্নসংখ্যক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সিলেটের কয়েকজন আইনজীবী জানান, মামলা ঝুলে থাকার অনেক কারণ রয়েছে। আদালত ও বিচারক সংকট এসব কারণগুলোর মধ্যে প্রধান। আবার অনেক মামলা হাইকোর্টে স্থগিতাদেশের কারণে বিচারকার্য ঝুলে যায়। তাই সিলেটে বিভাগীয় হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপন করা দরকার। এতে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আবেদনের মাধ্যমে মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে। আবার অনেক কোর্টের কার্যক্রমই দেখা যায় বিকেলে হয় না। সে ক্ষেত্রে পূর্ণ কর্মঘণ্টার ব্যবহার হলেও অনেক মামলার নিষ্পত্তি হবে বলে তাদের মন্তব্য। সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন জানান, বিচারকদের সংকট থাকায় মামলা ঝট বেড়ে যায় । অনেক সময় বিচারক প্রশিক্ষণে থাকেন বা ছুটিতে থাকেন। তাই মামলাগুলো জমে যায়। সে ক্ষেত্রে সমাধানের জন্য বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো খুবই জরুরি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ