Sobujbangla.com | পাকা ঘরে থাকমু, স্বপ্নেও ভাবি নাই।
News Head

পাকা ঘরে থাকমু, স্বপ্নেও ভাবি নাই।

  |  ২১:২৪, নভেম্বর ১৬, ২০২১

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাসের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ধনপুর ইউনিয়নের চিনাকান্দি গ্রামে বীর নিবাস নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদি উর রহমান জাদিদ। পরিদর্শনকালে তিনি উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলে নির্মাণকাজের অগ্রগতি জানতে চান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী বীর নিবাসের প্রতিটি ঘরের কাজ করতে হবে। চলতি অর্থবছরে ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে ১২টি বীর নিবাস নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। উপকারভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা জানান, এখন তারা পুরাতন জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করছেন। নতুন ঘরের নির্মাণকাজ শেষ হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দে থাকতে পারবেন। ঘগটিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর হোসেন বলেন, ছোট একটি ঘরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গাদাগাদি করে বসবাস করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বিল্ডিং করে দিতেছেন। জীবনে কল্পনা করিনি, পাকা ঘরে থাকমু। ঘরের নির্মাণকাজ শেষ হলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটু ভালোভাবে থাকতে পারুম। দক্ষিণ বাধাঘাট ইউনিয়নের মিয়ারচর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজুল হক বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অভাব-অনটনের সংসার। ভালো ঘর বানাইয়া থাকার সামর্থ্য নেই আমাদের। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরি করে দিতেছেন। এর চেয়ে বড় খুশির খবর আর কিছুই হয় না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি। সলুকাবাদ ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল মিয়া বলেন, ভালো মানের টিনের ঘর বানানোর সামর্থ্য আমার নেই। এখন পাকা ঘরে থাকমু, এটা স্বপ্নেও ভাবি নাই। ফতেহপুর ইউনিয়নের রঙ্গিয়ারচর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত ধীরেন্দ্র কুমার তালুকদারের স্ত্রী বীনা রানি তালুকদার বলেন, স্বামী সহায় সম্পদ রেখে যাননি। মুক্তিযোদ্ধার ভাতা দিয়ে সংসার চালাতে হয়। কখনও ভাবিনি পাকা ঘরে থাকবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আমাদের পাকা ঘর তৈরি করে দিতেছেন। এ জন্য আমাদের খুশির শেষ নেই। বীর নিবাস নির্মাণের ঠিকাদার মো. এখলাছুর রহমান বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরাসরি তদারকিতে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি বিষয় তিনি দেখভাল করছেন। বরাদ্দ অনুযায়ী নির্মাণকাজ হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদি উর রহমান জাদিদ বলেন, উপজেলায় ১৩টি বীর নিবাস নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে বীর নিবাসের কাজ শেষ হবে। কাজের গুণগত মানের প্রশ্নে কোনও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ