Sobujbangla.com | যাত্রীবাহী বাসে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তা, কারাদণ্ড।
News Head

যাত্রীবাহী বাসে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তা, কারাদণ্ড।

  |  ২১:১৮, নভেম্বর ১৬, ২০২১

চট্টগ্রাম থেকে সুনামগঞ্জগামী দূরপাল্লার একটি যাত্রীবাহী বাসে এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীর পাশের সীটে বসা সহযাত্রীর বিরুদ্ধে অশ্লীল যৌন আচরণ ও পর্নোগ্রাফি ভিডিও চালনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে মৌলভীবাজারের শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ। পরে তাকে দণ্ডও দেয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত যাত্রী মো. মাহবুবুর রহমান (২৬) সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের স্বজনশ্রী গ্রামের মো. আব্দুর রউফের ছেলে, সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। যৌন হেনস্তার স্বীকার মেয়েটি (২২) সিলেটের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭ টায় ঐ যুবককে পুলিশ আটক করলে ঘটনার সত্যতার ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিনমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে বিনাশ্রমে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত্রিকালীন টহল ডিউটি চলাকালীন সময়ে সকালবেলা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককের শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর এলাকায় সৌদিয়া পরিবহনের একটি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস (চট্ট মেট্টো বঃ ১১-১০৮৬) এর ভেতরে হট্টগোলের আওয়াজ পাওয়া যায়। পুলিশ বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে করলে গাড়িটি থামিয়ে চালক-হেল্পার ও যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশ জানতে চায় গাড়ির ভেতরে কোনো ঝামেলা হয়েছে কিনা। এতে গাড়ির ভেতরের যাত্রীরা জানান যে, এক যুবক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক মেয়েকে যৌন হেনস্তা করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ভিকটিম মেয়ে যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, ঐ ছেলে যাত্রী গাড়িটির সিটের সুইচ টেনে সিট পেছনে হেলিয়ে নিয়ে গিয়ে তার হাতে থাকা এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে প্রকাশ্যে পর্নোগ্রাফি ভিডিও চালিয়ে দীর্ঘক্ষণ যাবত দেখাচ্ছে। এমনকি বারবার তার দিকে তাকিয়ে বিভিন্ন ভাবে খারাপ অঙ্গভঙ্গি প্রকাশ করছে। এ ব্যাপারে শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নবীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশ সুপার, সিলেট রিজিয়ন, সিলেটকে অবগত করে তাঁর নির্দেশক্রমে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়। এতে তাৎক্ষণিকভাবে মৌলভীবাজার সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি সরজমিনে এসে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা পেয়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২/৮এর (৪) ধারা মোতাবেক ৩ (তিন) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড, অনাদায়ে বিনাশ্রমে ০১ (এক) মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। পরবর্তীতে ঐ আসামীকে মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ