Sobujbangla.com | দুই মাস পর দেশে ফিলে সৌদিতে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার নারীর লাশ
News Head

দুই মাস পর দেশে ফিলে সৌদিতে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার নারীর লাশ

  |  ১৭:১২, নভেম্বর ১৪, ২০২১

পরিবারের অভাব অনটন ঘুচানোর জন্য ২ ছেলে ও ১ মেয়েকে রেখে দালাললের খপ্পরে পড়ে সৌদি আরব গিয়েছিলেন টুনি বেগম। কিন্তু পরিবারের অভাব অনটন ঘুচানো তো দূরের কথা উল্টো পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন টুনি বেগম। নিহত টুনি বেগম হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের মেয়ে। শনিবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লাশ গ্রহণ করে টুনি বেগমের পরিবার। এর পর স্বজনরা শনিবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লাশ গ্রহণ করে রোববার দুপুরে উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামে দাফন করেছেন। টুনি বেগমের মা লাশের পাশে অঝোর ধারায় কান্না করছে। টুনি বেগমের ভাই হান্নান মিয়া জানান, পার্শ্ববর্তী বিজয়নগর উপজেলার ভাগদিয়া গ্রামের হাছান মিয়া ও দুলাল মিয়ার মাধ্যমে এ বছরের ১৮ মার্চ ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে পরিবারের আর্থিক স্বচ্চলতা ফিরিয়ে আনতে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন। কিন্তু সৌদি আরবে যাওয়ার পর টুনি বেগমের উপর পাশবিক নির্যাতন শুরু হয়। টুনির সঙ্গে থাকা সৌদি প্রবাসী এক নারী গত ১২ সেপ্টেম্বর ফোন করে জানান, টুনি বেগমকে হত্যা করা হয়েছে। টুনির পরিবারের অভিযোগ, সৌদি প্রবাসী উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের হেলাল মিয়া এবং উপজেলার জালুয়াবাদ গ্রামের সৌদি প্রবাসী নুর মিয়া ও ময়মনসিংহ জেলার গফুরগাঁও গ্রামের কামরুল মিয়া টুনি বেগমকে পাশবিক নির্যাতন করে মেরে ফেলেছেন। টুনির বোন সায়েরা বেগম জানান, হত্যার ২ মাস পর পরে অনেক ঘুরাঘুরি করে বাংলাদেশ দুতাবাসের সহযোগিতায় সৌদি আরব থেকে গত শনিবার রাতে টুনি বেগমের লাশ ফেরত পেয়েছি। কিন্তু এ ঘটনার লাশ ফেরত পেলেও টুনি বেগম হত্যার বিচার পাব কি না এ নিয়ে আমরা সংশয়ে আছি। সরকারের নিকট আমাদের দাবি কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টুনি বেগমের প্রকৃত অপরাধীদের যেন শাস্তির আওতায় আনা হয়। মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, টুনি বেগমের লাশ তার পরিবার পেয়ে রোববার দুপুরে রাজেন্দ্রপুর পারিবারিক করবস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। যেহেতু ঘটনাস্থল সৌদি আরব অতএব সে দেশের সরকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ