Sobujbangla.com | সিলেট চেম্বারের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড নিয়ে বিতর্ক
News Head

সিলেট চেম্বারের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড নিয়ে বিতর্ক

  |  ১৯:৩৪, নভেম্বর ১০, ২০২১

সিলেটের ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহত্তর সংগঠন দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি। এটিকে সিলেটের ব্যবসায়ীদের ঐক্য ও আস্তার প্রতিকও বলা হয়। আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে ভোটার তালিকা ও নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বুধবার সিলেট চেম্বার নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে ১১ জন পরিচালক প্রার্থী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন দপ্তরের পরিচালক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। ডায়রি নং ২৯৯৩, তারিখ : ১০.১১.২০২১। অভিযোগদাতা ১১ পরিচালক প্রার্থী হলেন- জহিরুল কবির চৌধুরী শিরু, দেবাংশু দাস মিঠু, আলীমুল এহসান চৌধুরী, খন্দকার ইসরার আহমদ রকি, আব্দুর রহমান জামিল, হুমায়ুন আহমদ, এহতেশামুল হক চৌধুরী, মো. আব্দুস সামাদ, মো. রুহেল আহমদ, ফাহিম আহমদ চৌধুরী ও শান্ত দেব। লিখিত অভিযোগে ১১ জন পরিচালক প্রার্থী বলেন, নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডে আব্দুল জব্বার জলিলকে নির্বাচন কমিশনার এবং এড. মিসবাউর রহমান আলম ও সিরাজুল ইসলাম শামীমকে সদস্য মনোনয়ণ করেন। একইভাবে ড. এম. শহীদুল ইসলামকে চেয়ারম্যান এবং এড. দিলিপ কুমার কর ও মোঃ আতাউর রহমান লাহীনকে সদস্য মনোনয়ণ করেন। যাদের অধিকাংশই বর্তমান পরিচালকদের আত্মীয় স্বজন ও ব্যবসায়ী অংশীদার। যার কারনে আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ সূষ্ট ভোটার তালিকা নিয়ে সব সময় সন্দিহান ছিলাম। তারা বলেন, এমনকি বিগত ০৬ অক্টোবর তারিখে কমিটির পরিচালকগণই নির্বাচন কমিশনার বরাবরে সহ সভাপতি জনাব তাহমীম আহম অক্টোবর বর্তমান নির্বাচন কমিশন কর্তৃক চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয় এবং আমরা যাথরীতি নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য মনোনয়ণ পত্র সংগ্রহ করি। নির্বাচনে অংশ গ্রহনের লক্ষ্যে আমরা দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর ভোটাদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে অর্ডিনারী শ্রেণীর ভোটার তালিকার ১১৩, ২৭৪৫, ২৮৩৫, ২৯৪৪, ৩৯৪৭, ৪২০৬, ৪২৩৭, ৪২৪১, ৪৫৪৭, ৪৫৪৮, ৪৫৪৯, ৪৫৫০, ৪৫৫১, ৪৫৫২, ৪৫৫৩, ৪৫৫৪, ৪৫৫৫,৪৫৫৬, ৪৫৫৭, ৪৫৫৮, ৪৫৫৯,৪৫৬০, ৪৫৬১, ৪৫৬২ নাম্বারের ভোটারদের সাথে যোগাযোগ করে গড়মিল লক্ষ করি। আমাদের আশংকা যে অফিসের কেউ হয়তো ইচ্ছে করে উল্লেখিত ভোটার তালিকায় মুল মোবাইল নাম্বর পরিবর্তন করে ভুল নাম্বার সংযোজন করেছে। যা সুস্পষ্ট জালিয়াতির অংশ। একইভাবে অর্ডিনারী শ্রেণীর ভোটার তালিকার ১৯৫ এবং ৪৬৫ নং ভোটার একই ব্যক্তি। পরিচালকরা বলেন, নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের নির্দেশ মোতোবেক ৩১ অক্টোবরের পূর্বে কোন প্রার্থী খসড়া ভোটার তালিকা সংগ্রহ করিতে পারেন নাই, শুধুমাত্র নোটিশ বোর্ডে দেখিতে পারেন। এরপর চুড়ান্ত ভোটার তালিকা সংগ্রহ করে বাস্তবে উল্লেখিত ঘটনাসহ আরো অনেক অসংগতি পরিলক্ষিত হয়।অর্ডিনারী শ্রেনীর ভোটার সংখ্যা ১৩৪৮, এসোসিয়েট শ্রেণীর ভোটার সংখ্যা ১২৪২ ও গ্রুপ ভোটার ৯ এবং টাউন এসোসিশন ১টি সহ সর্বমোট ২৬০০ ভোটার। আমরা প্রাথমিকভাবে নির্বাচনী প্রচারনা করতে গিয়ে এই ভোটারদের বেলায় গড়মিল পেয়েছি এবং আমাদের পক্ষে এত অল্প সময়ের মধ্যে কোন ভাবেই ২৬০০ ভোট পুঙ্খানোপুঙ্খ ভাবে যাচাই বাচাই করা সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়ে আপনার দ্বারস্থ হলাম। যাতে উল্লেখিত ভোট সমূহ যাচাই বাচাই করে সূষ্ট ভোটার তালিকা প্রনয়ণ করা যায়। লিখিত অভিযোগে তারা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের অনেক পরিচালক ও নির্বাচন বোর্ড ব্যবসায়ীক এবং পারিবারিক বন্ধনে যুক্ত। এর মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার জলিল নিজে বর্তমানে তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের ১ম সহ-সভাপতি এবং ফাউন্ডার পরিচালক একই সাথে সিলেট চেম্বারের সহ-সভাপতি তাহমিন আহমদও সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রতিষ্টাতা পরিচালক। নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সদস্য সিরাজুল ইসলাম শামীম চেম্বারের বর্তমান সভাপতি এ.টি.এম সোয়েবের ব্যবায়ীক অংশিদার। সিলনেট সিকিউরিটিজ লিঃ ও অটোক্লিন এ দুজন পার্টনার হিসেবে এক সাথে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের অপর সদস্য মিসবাউল ইসলাম চেম্বারের বর্তমান পরিচালক মামুন কিরিয়ার সুমনের আইন উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত আছেন। ১১ পরিচালক প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সদস্যরা একটি প্যানেলের প্রার্থীদের সাথে সরাসরি বিভিন্ন ব্যবসায় অংশিদার থাকায় তারা বর্তমান সভাপতি এ.টি.এম. সোয়েব ও সহ-সভাপতি তাহমিন আহমদ এব নির্দেশনামতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সার্বিক বিষয়ে কথা বলতে সিলেট চেম্বারের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার জলিল আজকের সিলেটকে বলেন, তাহমিন আহমদ বর্তমানে মেট্টোপলিটন চেম্বারে নেই। চেম্বারের বর্তশান বোর্ডের ১৯ জন পরিচালকের সর্বসম্মিতেই নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড ও আপিল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এটি নিয়ে কোন আপত্তি থাকলে বর্তমান বোর্ডই বলতে পারবে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য দপ্তরের পরিচালক মোঃ ওয়াহিদুজজামান বলেন, আমরা অভিযোগটি পেয়েছি মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় ও সচিব স্যার দেশের বাহিরে অবস্থান করছেন, আগামী সপ্তাহে দেশে ফিরবেন। স্যাররা দেশে ফিরলেই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ