Sobujbangla.com | কি হচ্ছে ক্বীন ব্রীজের নিচে।
News Head

কি হচ্ছে ক্বীন ব্রীজের নিচে।

  |  ২০:৩৯, আগস্ট ২৯, ২০২১

দিন-দুপুরে গঞ্জিকা মলামলির পর টানাটানি, কিশোর গ্যাঙের ড্যান্ডি সেবন, পতিতাদের সরব বিচরণ, কাস্টমার সংগ্রহ, টানাটানি বা ঝগড়াঝাটি- কি হয়না এখানে? প্রায় সবকিছুই হচ্ছে বলতে গেলে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী থানা থেকে মাত্র কয়েক গজ দুরে, কিনব্রিজের উত্তর প্রান্তে। যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সিলেটের ঐতিহ্যের প্রতিক আলী আমজদের ঘড়ি, সারদা হল, পীর হবিব পৌর পাঠাগার, জালালাবাদ পৌরপার্ক, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষ মুর্তি এবং বাংলাদেশের অন্যতম সেরা দৃষ্টিনন্দন সার্কিট হাউস। প্রায় অরক্ষিত এই এলকাটি অবশ্য ইদানিং সুরমার জলজ হাওয়া সেবনের জন্য নগরবাসীর খুব প্রিয় একটা স্থান হয়ে উঠেছে। কিনব্রিজের উত্তরপ্রান্তের সুরমাতীরের এসব কর্মকান্ড নিয়ে বহুদিন থেকেই লেখালেখি বা আলোচনা হচ্ছে। দিন-দুপুরে ব্রিজের নিচে গোল হয়ে বসে যেমন গাঁজার আসর বসে, তেমিনি রিকশা চালাতে চালাতে ক্লান্ত চালককেও দিব্ব্যি গাঁজা মলতে বা টানতে দেখা যায় প্রায়ই। এমন কি গাঁজার গন্ধে নারী শিশু ও বয়স্কদের প্রায়ই চরম বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেলেও ভয়ে কেউ টু শব্দটিও করেন না। পাশের জালালাবাদ পার্ক এলাকাটি সকাল দুপুর বা সন্ধ্যা- প্রায় সবসময়ই শরীরজীবিদের দখলে থাকে। সন্ধ্যায় প্রায়ই তাদের কাষ্টমার নিয়ে টানাটানির এক পর্যায়ে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হতে দেখে থমকে দাঁড়াতে হয় পথচারীদের। পড়তে হয় মারাত্মক অস্বস্তিতে। আর গাঁজাড়–দের মতো ইদানিং প্রায়ই কিশোর গ্যাঙকে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ড্যান্ডি সেবন করতেও দেখা যায়। তারা আবার ছুরি ছিনতাই বা পকেট মারার মত অপরাধের সাথেও জড়িত। সার্কিট হাউসগামী রাস্তার ফুটপাততো পরিণত হয়েছে গণসৌচাগারে! দিন-দুপুরে দিব্যি রিকশা, ঠেলা, ভ্যানচালক এমনকি সাধারণ পথচারীদেরও শরীরের জল নিংড়ে ফেলা বা প্রকৃতির ডাকে সাঁড়া দিতে বসে পড়তে দেখা যায়। এমনটি চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সার্কিট হাউসে আসা মন্ত্রী-এমপি বা ভিআইপিদের দামি গাড়ির কাঁচ ভেদ করে সেই নোংরা গন্ধটা প্রবেশ করতে পারেনা বলে যুগের পর যুগ এমনটাই চলছে। আর যন্ত্রনাটা ভোগ করছেন সাধারণ নগরবাসী বা জরুরী কাজে আসা অনগরবাসীদের। অথচ এই এলাকাটিতেই অবস্থান সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী থানা। মাত্র কয়েক গজ পশ্চিমে। যাতায়াতকালে তাদের চোখে এসব না পড়ার কথা না। কিন্তু এগুলো বন্ধের কোন উদ্যোগই নেই। এমনকি উদ্যোগ নেই সিলেট সিটি করপোরেশনেরও। তারা গাড়ি স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করেছে কয়েকবার। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বহাল তবিয়তে সেই স্ট্যান্ড আবার দাঁড়িয়েছে আগের মত। এই এলাকায় একটা পুলিশ বক্স স্থাপন জরুরী বলে মত প্রকাশ করলেন সুরমার জলে শীতল হতে আসা কয়েকজন নগরবাসী। তাদের মতে, সিঁড়ির আশ-পাশ বা সার্কিট হাউসের আশপাশে কোথাও একটি পুলিশ বক্স স্থাপন করলে এসব সমস্যার কোনটিই থাকতনা। এতে নগরবাসী কিছুটা হলেও স্বস্তিতে চলাফেরা করতে পারতেন। সৌন্দর্যও রক্ষা পেত। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর মোবাইলে কল দিলে তা ব্যস্ত পাওয়া গেছে। তবে বিষয়টি খুব গুরুত্বসহকারে বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে প্যানেল মেয়র-১ ও কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন বললেন, হ্যাঁ, এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। সার্কিট হাউসে ভিআইপিরা আসা-যাওয়া করেন। তাছাড়া সাধারণ মানুষের জন্যও বিষয়টি বিরক্তিকর। পরিষদের আগামী সভায় আমি বিষয়টি তুলে ধরব। যাতে এখানে একটি পুলিশ বক্স স্থাপন করা যায়, সে ব্যাপারে এসএমপি কমিশনারের কাছে একটি চিঠি বা আবেদনের বিষয়টি আমাদের পরিষদে আলোচনা করে দ্রুত একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ