স্বজন হারানোর আর্তনাদে ভারী মগবাজার।
রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণে অনেকের দুনিয়াটাই ওলট-পালট হয়ে গেছে। কেউ স্বজন হারিয়ে শোকে বিহবল। কারো অপেক্ষা হাসপাতালের করিডোরে। প্রিয় মানুষটি লড়ছে মৃত্যুর সাথে। দুঃখের সাগরে ভাসছেন সবাই।
রাজধানীর মগবাজার ওয়ারলেস মোড়ে রোববার সন্ধ্যায় হঠাৎ বিস্ফোরণ। ক্ষণিকের মধ্যে ওলট-পালট হয়ে গেছে, বেশ কয়েকটি পরিবারের স্বপ্ন। হাসপাতালের মেঝেতে বসে কেউ অপেক্ষায় স্বামীর কেউ ভাইয়ের।
বেঙ্গল মিট নামে একটি মাংসের দোকানে কাজ করতেন, ইমরান। এখন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটে আইসিইউতে লড়ছেন বেঁচে থাকার যুদ্ধে।
আর যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন, তাদের বলার ভাষাই যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে। নিহত স্বপনের মরদেহ নিতে অপেক্ষায় বাবাসহ দুই সন্তান। অথচ রোববার রাতে, স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে নিজ বাসায় ফিরে কিছু সময়ের বাইরে বেরিয়েছিলেন তিনি।
আজমেরী পরিবহনের বাস চালাতেন আবুল কাশেম। ওইদিনের বিস্ফোরণে মারা গেছেন তিনি। ওই বাসেরই যাত্রী ছিলেন, রুহুল আমিন নোমান। তাকে হারিয়ে শোক সাগরে বন্ধুরা।
আর সুজনের গল্পটা আরও করুণ। স্ত্রী ও ৯ মাসের সন্তান হারানোর দুঃখ নিয়েই তাকে চলতে হবে সামনের পথটা।