Sobujbangla.com | চিকিৎসকরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও।
News Head

চিকিৎসকরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও।

  |  ১৯:৫৫, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০

করোনাভাইরাস চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকরা নিরাপদ আবাসনের দাবি জানিয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করেছে। নিরাপদ আবসানের ব্যবস্থা না করা হলে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দেয়া সম্ভব হবে না বলে হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষকে সাফ জানিয়েছে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। পরবর্তীতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে তারা ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিত করে।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা নিরাপদ আবাসনের দাবিতে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, উপ-পরিচালক ডা. মামুন মোর্শেদ এবং মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও কোভিড ইউনিটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. শাহাদাৎ হোসেন রিপনের কার্যালয় ঘেরাও করে রাখেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক বলেন, আমাদের কোনো আবাসনের ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ করতে পারেনি। অথচ দৈনন্দিন দায়িত্বপালন শেষে বাসায় ফিরতে হয়। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের পরিবারের একাধিক সদস্য করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যরা এভাবে সংক্রমিত হয়ে মারা যাওয়া ঘটনাও ঘটেছে। তারপরেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা এভাবে আমাদের পরিবারের সদস্যদের ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না। তাই আমরা কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছি। এর ভেতরে কোয়ারেন্টিনের কোনো সমাধান না হলে, আমরা কোভিড ইউনিটে আর ডিউটি করব না। তবে হাসপাতালের স্বাভাবিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাব।
এ প্রসঙ্গে শহীদ সোহারাওয়ার্দী মেডিকেলের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, আবাসিক সমস্যা সমাধানের জন্য চিকিৎসকরা আমাদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। চিকিৎসকদের দাবি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ইতোমধ্যে আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি এবং মন্ত্রণালয়কেও এটা জানানো হয়েছে। এমনিতেই আমাদের লোকবল কম। তারপর কোভিডের পাশাপাশি ননকোভিড চিকিৎসাও চলছে। যেহেতু কিছু চিকিৎসক কোভিড চিকিৎসায় নিযুক্ত তাই তাদের নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা থাকা দরকার। কিন্তু মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্যকর্মীদের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। তাই বাধ্য হয়ে তাদের বাসায় থাকতে হচ্ছে। এতে তাদের পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল রাজধানীর ৬ হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবায় যুক্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার জন্য ১৯টি হোটেল নির্ধারণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু গত ২৯ জুলাই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসিক হোটেলের সুবিধা বাতিল করা হয়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ