Sobujbangla.com | ডেঞ্জারজোন’ পোস্ট অফিস প্রাঙ্গণ, সন্ধ্যা হলেই জমে আড্ডা।
News Head

ডেঞ্জারজোন’ পোস্ট অফিস প্রাঙ্গণ, সন্ধ্যা হলেই জমে আড্ডা।

  |  ১৯:১২, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২০

নতুন এক ডেঞ্জারজোনের কাছে তটস্থ বিয়ানীবাজার পৌরবাসী। রাত ঘনিয়ে আসলেই সেখানে জমে ওঠে তরুণদের আড্ডা। তারা সেখানে ধুমপান করে, কেউ আবার নেশার ঘোরে চক্কর দেয়। কেউ মোবাইল হাতে প্রিয়জনের সাথে কথায় মশগুল হয়ে ওঠে। ক্রমেই এই ডেঞ্জার জোনে উপস্থিতির হার বাড়ছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন পৌরবাসী। বিশেষ করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পোস্ট অফিস প্রাঙ্গণে সন্ধ্যা নেমে আধাঁর হলেই ২০-২৫বছর বয়সী তরুণদের ভিড় জমতে থাকে। তাদের পিঠে থাকে ব্যাগ ঝুলানো। হাতে মোবাইল, কানে এয়ারফোন নিয়ে জমতে থাকে আড্ডা। প্রায়ই শোনা যায় অশ্লীল কথাবার্তা। সমবেত তরুণরা দলবেঁধে হৈ-হুলোড় করে। কারো হাতে সিগারেট, কেউ কোমল পানীয় আবার কেউ কাশির ঔষধ পান করে আড্ডাস্থল জমানোর চেষ্টা করে।
অথচ পোস্ট অফিস প্রাঙ্গণ পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত। এর অদূরে একাধিক বিপনীবিতান, মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্টান, বাসা-বাড়িও রয়েছে। কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেনা, সে সাহসও নেই। এই প্রাঙ্গণের উপর দিয়ে কলেজ রোডে যাতায়াত করেন বহু সাধারণ মানুষ। গত কয়েকদিন থেকে সন্ধ্যার পর সাধারণ পথচারীরাও আর এপথে পা-বাড়াননা।
পোস্ট অফিস প্রাঙ্গণে রয়েছে একাধিক ছোট ঝোপঝাঁড়। এসব ঝোপঝাঁড়ে নাকি রাখা থাকে দেশীয় অস্ত্র, যেগুলো প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়।
বিয়ানীবাজার পোস্টঅফিসের পোস্ট মাস্টার হরিমোহন সিং জানান, এখনকার ছেলেদের সাথে কথা বলা ঠিক নয়। কারণ তাদের মেজাজ সবসময় গরম থাকে। তাছাড়া আমি বাইরের লোক এসব বিষয় নিয়ে অযথা ঝামেলায় জড়াতে চাইনা। প্রতিদিন বখাটেদের চিৎকার-চেচাঁমেচি শুনি। যা আমার কাছেও খারাপ লাগে।
পোস্ট অফিস সংলগ্ন একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্টানের মালিকরা জানান, সন্ধ্যার পর বখাটেদের যন্ত্রনায় অতিষ্ট থাকেন তারা। এই সময়ে সাধারণত কাস্টমার, পথচারীরা ওই এলাকায় আসতে চাননা।
তবে বিয়ানীবাজার থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল হক জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। তবে এখন থেকে এসব স্থানে আমরা নিয়মিত টহল দিব। আমরা এলাকার মানুষকে শান্তিতে রাখতে চাই। কোথাও কোন ধরণের বখাটেপনা সহ্য করা হবেনা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ