Sobujbangla.com | করোনা আক্রান্ত ১১ লাখের বেশি
News Head

করোনা আক্রান্ত ১১ লাখের বেশি

  |  ১৬:৫০, এপ্রিল ০৪, ২০২০

করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ৬০ হাজার। আক্রান্ত ১১ লাখের বেশি। ২ লাখ ২৫ হাজারের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ইউরোপের দুই দেশ, ইতালি ও স্পেনেই মৃতের সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। ৬৩ বাংলাদেশিসহ যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণহানি ৭ হাজার ছাড়িয়েছে। ভারতে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭৮, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬২। বিশ্বে সংঘর্ষকবলিত এলাকায় করোনা পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির শঙ্কা জাতিসংঘের।
স্পেনের কফিন তৈরির কারখানাগুলোর এই কর্মব্যস্ততায় বলে দিচ্ছে, দেশটির ভয়াবহ অবস্থা। প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রাণহানি। চাহিদা এতো বেড়েছে, পর্যাপ্ত কফিন তৈরি করতে হিমিশিম খাচ্ছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। মর্গে জায়গা না থাকায় তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী মর্গ। ইতালি ও ফ্রান্সের অবস্থাও একইরকম।
যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর মিছিল প্রতিদিনই রেকর্ড ছাড়াচ্ছে। মৃত্যুর খাতায় নাম লিখিয়েছেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিও। ক্যালিফোর্নিয়ায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জামের দাবিতে রাস্তায় নার্সরা। নিউইয়র্কেও সল্পতা দেখা দিয়েছে চিকিৎসা সামগ্রির। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, নিউইর্কের আরও বেশি ভেন্টিলেটর থাকা উচিত ছিল। সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সাহায্য করার। তবে আমাকে অন্য রাজ্যগুলোর কথাও মাথায় রেখে পরিকল্পনা করতে হচ্ছে।
করোনা মোকাবিলায় ল্যাটিন আমেরিকার পেরু ও পানামা নিয়েছে ভিন্ন ধরণের উদ্যোগ। দেশ দুটিতে নারী ও পুরুষ একই দিনে বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। নারীরা বের হবেন বুধ, বৃহস্পতি ও শনিবার। বাকি দিনগুলো পুরুষের। তবে, রোববার সবাইকে ঘরে থাকতে হবে।
২৪শে মার্চ থেকে ২১ দিনের লকডাউনের মধ্যে ভারতের ১৩০ কোটির বেশি মানুষ। দেশটির দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অবস্থা শোচনীয়। তাদের সহায়তায় সামর্থবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
করোনা মহামারির মধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থেমে নেই যুদ্ধ-সংঘাত। দেশগুলোকে সংঘাত বন্ধ করে করোনা মোকাবিলার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, বিশ্বে এখন শান্তি দরকার। কিন্তু তা থেকে আমরা অনেক দূরে। করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্বে ঐক্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্ভাব্য সব করতে হবে।
ইরান ও তুরস্কে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে দিন দিন। আক্রান্তের পাশাপাশি দেশ দুটিতে বাড়ছে প্রাণহানী।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ