ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া
প্রতিপক্ষ যখন ক্রোয়েশিয়া, ফুটবল ঐতিহ্য আর অবস্থানের বিচারে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে রাখতেই হবে। কিন্তু সামর্থ্যের বিচারে ক্রোয়েশিয়াও যে কোনো অংশে কম নয়, সেটা তারা প্রথমে বুঝিয়ে দিয়েছে শেষ চার পর্যন্ত এসে। এবার ফাইনালে ওঠে সামর্থ্যের প্রমাণটা ভালোভাবে দিয়েছে। ফেভারিটের তকমা নিয়ে আসা ইংলিশদের ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে রাকিটিচ-মড্রিচরা ইতিহাস গড়েছে।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে খেলা ছিল ১-১ গোলের সমতায়। পরে অতিরিক্ত সময়ের গোলে ক্রোয়েটরা জিতে ফাইনালে উঠে যায়। ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে ফেভারিট ফ্রান্সের।
মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে অবশ্য ইংল্যান্ড এগিয়ে যায় ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে চমৎকার ফ্রি-কিক লক্ষ্যভেদ করেন কিয়েরান ট্রিপায়ার। ক্রোয়োশিয়া গোলরক্ষক কিছু বুঝে ওঠার আগেই বল ঠিকানা খুঁজে পায় জালে।
ইংলিশ লিগে টটেনহ্যাম হটস্পারের হয়ে খেলা এই ডিফেন্ডারের এটি প্রথম আন্তর্জাতিক গোল।
পরে ৬৮ মিনিটে ক্রোয়েশিয়াকে খেলার সমতায় ফেরান ইভান পেরিসিচ। ডান দিক থেকে শিমে ভারসালকোর ক্রসে পা অনেক উঁচিয়ে বল জালে পাঠান পেরিসিচ।
চার মিনিট পর ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগ পেয়েছিল ক্রোয়েটরা, দুর্ভাগ্য তাদের পেরিসিচের শট বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল হয়নি। তাই খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচের ১০৯ মিনিটে এগিয়েও যায় ক্রোয়েশিয়া, চমৎকার গোলটি করেন মারিও মান্দজুকিচ।
১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর ইংল্যান্ডের সামনে দ্বিতীয়বারের মতো সুযোগ এসেছিল ফাইনালে খেলার। কিন্তু ১৯৯০ সালের মতো আবারো সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নেয় তারা।
আর ক্রোয়েশিয়া ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ অভিষেকেই চমক দেখিয়ে ছিল, সেমি-ফাইনালে ওঠে। দ্বিতীয়বারের মতো সেমিতে আর সুযোগ হাতছাড়া করেনি তারা। ইতিহাস গড়ে ফাইনালে উঠে যায় তারা।