মেসির পেনাল্টি ঠেকিয়ে দিলেন গোলরক্ষক
আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার আগুয়েরার দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে গেলও কিছুক্ষণ পরেই্ খেলায় সমতায় ফিরে আইসল্যান্ড। ১-১ গোলে এগিয়ে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে কঠিন চাপের মুখে রাখে আইসল্যান্ডকে। এর মধ্যে পেনাল্টি পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু সৌভাগ্য ধরা দেয়নি তাদের। গোল মিস করেন লিওনেল মেসি।
এর আগে ম্যাচ শুরুর খানিক পরই আর্জেন্টিনার জালে বল পাঠানোর খুব ভালো একটা সুযোগ পেয়েছিল আইসল্যান্ড। নবম মিনিটে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে ফরোয়ার্ড আলফ্রেদ ফিনবোগাসনের নিচু শট একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।
সপ্তদশ মিনিটে বাঁ পায়ের শটে চেষ্টা করেন লিওনেল মেসি। তবে তার ‘ট্রেডমার্ক শট ফিরিয়ে দেন আইসল্যান্ডের গোলরক্ষক।
গোলের জন্য আর্জেন্টিনার অপেক্ষা শেষ হয় সের্হিও আগুয়েরোর চমৎকার এক ফিনিশিংয়ে। ডি-বক্সের ভেতরে ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকারকে খুঁজে পান মার্কোস রোহো। সঙ্গে লেগে থাকা খেলোয়াড়কে এড়িয়ে বুলেট গতির শটে বল জালে পাঠান আগুয়েরো। ১৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
বিশ্বকাপে এটা আগুয়েরোর প্রথম গোল।
পাঁচ মিনিটের মধ্যে ম্যাচে সমতা ফেরায় আইসল্যান্ড। গোলরক্ষক উইলি কাবাইয়েরো একটি চেষ্টা ফিরিয়ে দিলে বল পেয়ে যান ফিনবোগাসন। ২৪তম মিনিটে খুব কাছ থেকে বল জালে পাঠান এই ফরোয়ার্ড। বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলতে আসা আইসল্যান্ড গোল পেল নিজেদের প্রথম ম্যাচেই।
৪৫তম মিনিটে আইসল্যান্ডের দারুণ একটি আক্রমণ রুখে দেন কাবাইয়েরো। ফিনবোগাসনের কাছ থেকে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে যান গিলফি সিগুর্দসন। ডি-বক্সে আর্জেন্টিনার অনেক খেলোয়াড় থাকলেও সেভাবে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি কেউই। এভারটন ফরোয়ার্ডের শট ঝাঁপিয়ে কোনোমতে এক হাতে ঠেকান কাবাইয়েরো।
ম্যাচের ৬৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন মেসি। তাকেই ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। মেসির শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন আইসল্যান্ডের গোলরক্ষক।