নাটকীয় ম্যাচের নায়ক মাহমুদুল্লাহ, ফাইনালে বাংলাদেশ
শেষ তিন ওভারে জয়েরে জন্য দরকার ছিলো ৩৯ রান। ৫ রানে ব্যাট করছিলেন সাকিব আল হাসান আর ১৬ রান ছিলো মাহমুদুল্লাহর।
তবে সতেরতম ওভারের শেষ বলে উদানার বলে ধনঞ্জয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব (৭)। ২ ওভারে তখনও দরকার ২৩ রান। কঠিন কাজটা আরও কঠিন হয়ে যায় মাহমুদুল্লাহর জন্য। তবে কঠিন কাজের কাজীই তো মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু যোগ্য সঙ্গী পেলেন কই! পরের ওভারে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে ফিরলেন মেহেদী মিরাজ।
শেষ ওভারে দরকার ছিলো ১২ রান। প্রথম বল ডট দিয়ে পরের বলেই রান আউট হলেন মোস্তাফিজ। তবে স্ট্রাইক পেলেন মাহমুদুল্লাহ। চার হাঁকিয়ে পরের বলে ২ রান। পরের বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে বীরবেশে মাঠ ছাড়লেন মাহমুদুল্লাহ। একটি বল তখনও বাকি।
২ উইকেটের জয় নিয়ে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে উঠলো বাংলাদেশ।
লক্ষ্য ১৬০ রান। খুব বড় না হলেও একেবারে মামুলি বলার উপায় নেই। তবে শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ওপেনার লিটন দাস ফেরেন স্কোরবোর্ডে কোন রান যোগ না করেই। এদিন তৃতীয় উইকেটে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে সেটাকে কাজে লাগাতে পারেননি সাব্বির রহমান।
ধনঞ্জয়ের বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন সাব্বির (১৩)।
একপাশ আগলে রাখা তামিমের সঙ্গে যোগ দেন দারুণ ছন্দে থাকা মুশফিকুর রহিম। তবে তিনিও যেতে পারেননি বেশিদূর। মুশির ব্যাট থেকে এদিন আসে ২৮ রান। আন্তর্জাতিক টি-২০’তে ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক তুলে নিয়ে ফিরে যান তামিমও (৫০)। ছন্দ হারানো সৌম্য (১০) এক ওভার পরেই।
মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামালে দেয়ার চেষ্টা করেন মিস্টার কুল মাহমুদুল্লাহ।