টি-২০, টেস্ট নিয়ে মাশরাফি-পাপনের ‘দরকষাকষি
বাংলাদেশ দলের প্রয়োজনে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার ইচ্ছা আবারো ‘সময় সংবাদে’ প্রকাশ করলেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। যদিও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন মাশরাফিকে টেস্ট দলে নেয়ার পক্ষে নন বলেই জানিয়েছেন।
কিন্তু থেকে থাকতে চান না নড়াইল এক্সপ্রেস। টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ম্যাশের।
২০০১ সালে আভিজাত্যের ক্রিকেট টেস্ট খেলার মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আবির্ভাব মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার। গতি আর বৈচিত্র্যে দৃষ্টি কেড়েছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। সেই থেকে মাশরাফি স্বপ্ন লালন করেছিলেন সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অনন্ত ৩০০ উইকেট শিকার করবেন। কিন্তু, ইনজুরির ঈর্ষায় তা আর হয়নি। ৩৬ টেস্টে ৭৮ উইকেট নিয়েই থামতে হয় তাকে।
২০০৯ সালে সর্বশেষ টেস্ট খেলা মাশরাফির এখন এলিট ক্রিকেটে ফেরার প্রত্যয় জানালেন আরো একবার।
‘যদি টিমের কখনোই মনে হয় যে, আমার সার্ভিস দরকার। তাহলে অবশ্যই আমি ভবতে চেষ্টা করবে তবে সেটা টিমেরও অবশ্যই ভাবতে হবে।’
তবে, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন মাশরাফির স্বপ্ন বাস্তবায়নের পক্ষে নন।
‘আমি ওকে বলেছিলাম টি-২০ খেলতে হবে। ও আমাকে বলেছে, টেস্ট খেলতে চায়, টি-২০ খেলবে না। তো তারপর আর কথা এগোয়নি। আমি কিন্তু ওকে এই টি-২০তে (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে) খেলার জন্য।’
কিন্তু অন্দর মহলে আছে বিসিবি’ সভাপতির অহংবোধের ধোঁয়াশা। ব্যাপারটা এমন যে। গেলো নভেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি থেকে মাশরাফিকে জোর পূর্বক অবসরে পাঠানোর নেপথ্যে থাকা কোচ হাতুরুসিংহের কথায় সাই দিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি। হাথুরু এখন যখন কোচ হিসেবে নেই। তখন সেই ম্যাশকে আবারো টি-টোয়েন্টি দলে চান নাজমুল হাসান পাপন।
কিন্তু অবসর ভাঙ্গতে অনড় মাশরাফি। তাই কিনা পাপন ক্ষমতা বলেই মাশরাফিকে টেস্টে দলে নেয়ার পক্ষে নন, এমনটাই মত বিশ্লেষকদের। কিন্তু ক্রিকেটযোদ্ধা মাশরাফি তো থেমে থাকার পাত্র তো নন।
‘অবশ্যই আমার লক্ষ্য আছে এবং আমি সেভাবেই চিন্তা-ভাবনা করছি। তবে আমি সবসময় ভাগ্যে বিশ্বাসী। যদি ভাগ্য আমার সহায় হয় তাহলে হয়তো বা (টেস্ট দলে) ফেরা সম্ভব। আমি শুধু আমার চেষ্টাটা করে যেতে পারি এবং সেটাই করে যাচ্ছি। এবার ফার্স্টক্লাস ম্যাচ দুইটা খেলার সুযোগ পেয়েছি। সামনে যখন আসবে হয়তো আরও বেশি খেলবো।’
এর আগেও বাংলাদেশ দলের প্রয়োজনে টেস্ট দলে ফেরার সংকল্পের কথা জানিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা।