ওয়ানডেতে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগের চরম ব্যর্থতায় ২০০ রানে হেরেছে মাশরাফি বাহিনী।
টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজেও হোয়াইট ওয়াশ হলো বাংলাদেশ। সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডেতে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগের চরম ব্যর্থতায় ২০০ রানে হেরেছে মাশরাফি বাহিনী।
হোয়াইট ওয়াশ এড়াতে নিজেদের ইতিহাসে রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে হতো মুশফিক-সাকিবদের। মূলত দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৭০ রানের লক্ষ্য দেয়ার পরই একরকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো বাংলাদেশের ভাগ্য। তবে ব্যাটিংয়ের এমন ছন্নছাড়া প্রদর্শনী হয়তো কেউই আশা করেননি। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের সঙ্গে সিরিজটা যে একেবারেই বেমানন সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রোটিয়াদের রান পাহাড়ের সামনে ইনিংসের শুরুতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে টাইগারদের ব্যাটিং দুর্গ। ৭ জন ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
‘মৃত্যুর মিছিল’র শুরুটা হয়েছিলো ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই। দলীয় ৩ রানের সময় ওপেনার ইমরুল কায়েসকে (১) ফেরান ডিন পেটারসন। এক ওভার পরেই আবারো আঘাত হানেন পেটারসন। এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলেন লিটন দাসকে (৬)। তামিমের জায়গায় সুযোগ পেয়ে হতাশ করেছেন সৌম্য সরকার। দলীয় ২০ রানে রাবাদার বলে মার্করামের হাতে ক্যাচ দেন সৌম্য (৮)। ৫১ রানের সময় পূর্বসূরীদের অনুসরণ করেন মুশফিক (৮)। এরপর মাহমুদুল্লাহকেস (২) হারিয়ে ম্যাচ থেকে একেবারেই ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
সাব্বিরের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়েন সাকিব। ক্যারিয়ারের ৩৬তম অর্ধশতক তুলে নিয়ে সাবিক ফেরেন ৬৩ রানে। পরের ওভারে মার্করামের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন সাব্বির (৩৯)। পেটারসনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে মাশরাফি করেন ১৭ রান। শেষ পর্যন্ত ৪০ ওভারে ১৬৯ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।
এরআগে ইস্ট লন্ডনের বাফেলো পার্কে টস জিতে বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ে পাঠান প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক এবং টিমবা বাভুমা দারুণ শুরু এনে দেন। তাদের ১১৯ রানের জুটি ভাঙেন মেহেদী মিরাজ। লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে বাভুমা করেন ৪৮ রান। এরপর ৭৩ রান করা ডি কককে কট এন্ড বোল্ড করেন মিরাজ। তবে মার্করামের সঙ্গে ১৫১ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেন ডু প্লেসি। ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৯ রান দূরে থাকতে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন প্রোটিয়া অধিনায়ক। মার্মরাম আউট হন ৬৬ রানে। চল্লিশ ওভারের পর দ্রুত তিনটি উইকেট নিয়ে ক্ষণিকের জন্য স্বস্তি পেয়েছিলো বাংলাদেশ। তবে শেষ দিকে রাবাদা আর ফারহান বেহারদিনের ঝড়ে ৩৬৯ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস।