ইনিংসের ৪৩তম ওভারে আনদিলে ফেলাকায়ুর ইয়র্কারে ভেঙ্গে যায় মোস্তাফিজের উইকেট, ভেঙ্গে যায় বাংলাদেশের শেষ রক্ষণও।
ইনিংসের ৪৩তম ওভারে আনদিলে ফেলাকায়ুর ইয়র্কারে ভেঙ্গে যায় মোস্তাফিজের উইকেট, ভেঙ্গে যায় বাংলাদেশের শেষ রক্ষণও। আবারো ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় টাইগারদের।
ব্লুমফন্টেইনে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ইনিংস এবং ২৫৪ রানে হেরে দুই ম্যাচের সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হলো বাংলাদেশ।
তৃতীয় দিনে মাহমুদুল্লাহর আউটের পরই মূলত ভেঙ্গে গিয়েছিলো বাংলাদেশের রক্ষণদূর্গ। তার ৪৩ রানই ফলোঅনে পড়া বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংস। প্রথম ইনিংসে শূণ্য রানে ফেরা সাব্বির এদিনও মেলে ধরতে পরেননি নিজেকে। ফেলাকায়ুর বলে ডুপ্লেসিকে ক্যাচ দিয়েছেন মাত্র ৪ রানে। পরে চার বোলার তাইজুল, রুবেল, শুভাশীষ এবং মোস্তাফিজ মিলে করেন ২৮ রান। ১৭২ রানে শেষ হয় বাংলাদেশেরে দ্বিতীয় ইনিংস।
এরআগে টস হেরে ব্যাটিং করে ৪ উইকেটে ৫৭৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে দ্বিতীয় দিনে ব্যাটে নেমে ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
ম্যাচে দশ উইকেট নিয়ে ম্যাচে সেরা হয়েছেন কেগিসো রাবাদা। আর সিরিজসেরা হয়েছেন ডিন এলগার।
স্কোর: দক্ষিণ আফ্রিকা ৫৭৩/৪ডি. বাংলাদেশ ১৪৭ এবং ১৭২ (দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস এবং ২৫৪ রানে জয়ী)
ইনিংস ব্যবধানে হার দেখছে বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের সামনে দাড়াতেই পারছেন না মুশফিকরা। ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশকে করতে হবে এখনো ২৮২ রান, হাতে আছে ৪ উইকেট। সাব্বির রহমান ছাড়া আর বাকি সবাই মূলত বোলার। তাই ইনিংস ব্যবধানে হারটা এড়াতে অলৌকিক কিছুই করে দেখাতে হবে বাংলাদেশকে। স্বাগতিক পেস আক্রমণের সমনে যা প্রায় অসম্ভবই।
২৬ রানে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান ওয়েন পারনেল। এরপর মাহমুদুল্লাহ আর লিটনের ব্যাটে ভালোই জববা দিচ্ছিলো বাংলাদেশ। ১৮ রানে ফেলাকায়ু বোল্ড করেন লিটনকে। কিছুক্ষণ পর ওয়ানডে মেজাজে খেলা মাহমুদুল্লাহ ফেরেন ৪৮ রানে।
সৌম্যর পথে মুমিনুল
ব্লুমফন্টেইন তৃতীয় দিনের শুরুতেই আবারো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। ওপেনার সৌম্য সরকারের পর কেগিসো রাবাদার সপ্তম শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফিরলেন টেস্ট স্পেশালিষ্ট মুমিনুল হক। রাবাদার শর্ট বাউন্সারের লোভটা সামলাতে পারলেন না মুমিনুল। রাবাদার কৌশলই জিতে গেলো। দুর্বল টাইমিংয়ের পুল শটটা গিয়ে সরাসরি ডিপ মিড উইকেটে কেশভ মহারাজের হাতে পড়লো। ১৩ বল খেলে মুমিনুল ফিরলেন ১১ রান করে।
শুরুতেই ফিরলেন সৌম্য
ব্লুমফন্টেইনে দিনের দ্বিতীয় ওভারেই ওভারেই অলিভেইরার বলে জীবন পেয়েছিলেন। শর্ট লেগে দাঁড়ানো মার্করামের হাত ফসকে বেরিয়ে যায় সৌম্য সরকারের সহজ ক্যাচটি। পরের ওভারেই তাকে তালুবন্দ্বী করেন ফাফ ডু প্লেসি। রাবাদার অফস্ট্যাম্পের বাইরে বলে স্লিপে ক্যাচ দেয়ার আগে সৌম্য করেন ৩ রান।
এর আগে প্রথম ইনিংসে চার সেঞ্চুরিতে ৫৭৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৪৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় দিন আবারো ব্যাটিংয়ে নামতে হয় টাইগারদের। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ।