তদন্ত কমিটি অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছে,।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন জবির তদন্ত কমিটি,।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে অবন্তিকার কুমিল্লার বাগিচাগাঁও বাসায় যান তদন্ত বমিটির সদস্যরা। এসময় সেখানে তারা অবন্তিকার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন,।
এদিন দুপুর একটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আমরা তদন্তের কাজ চালাচ্ছি। অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জানার চেষ্টা করেছি। আশা করছি, খুব দ্রুতই তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারবো,।
এসময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার দাস, কমিটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মাসুম বিল্লাহ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবুল হোসেন এবং সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ঝুমুর আহমেদ,।
পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অবন্তির মা। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির সদস্যরা পুরো ঘটনার বর্ণনা শুনেছেন। তারা তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন,।
তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির এই সহযোগিতা যদি আগে থাকতো তাহলে আমার মেয়ে এখন মাটির নিচে থাকতো না। আমি উজ্জ্বল সম্ভাবনাময়ী মেয়েকে হারালাম,।
এদিকে অবন্তিকার আত্মহত্যা মামলার প্রধান আসামি সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত,।
১৫ মার্চ রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অবন্তিকা গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। অবন্তিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন,।
নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে অবন্তিকা এ ঘটনার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেছেন। একইসঙ্গে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকেও এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন,।
তার মৃত্যুতে বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সভা-সমাবেশে থেকে জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দাবিও। সেগুলো হলো,।”অবিলম্বে তদন্ত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে।
অভিযুক্তদের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তৎকালীন প্রক্টরিয়াল বডিকে তদন্ত সাপেক্ষে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
“আগে ঘটে যাওয়া সকল নিপীড়নের বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে।”
দ্রুততম সময়ে নিরক্ষেপ যৌন নিপীড়ন দমন সেল গঠন করতে হবে এবং প্রতিটি বিভাগে অভিযোগ বক্স স্থাপন করতে হবে।” শিক্ষার্থীদের জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ” নিয়োগ দিতে হবে,।