রমজান মাসে ভাজা-পোড়া বেশী খাওয়ার,কারনে হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা,।
সিলেটজুড়ে হঠাৎ করেই বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ,। গত ২৪ ঘন্টায় সিলেট বিভাগে ১১৮ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন,। এক সপ্তাহে ভর্তি হয়েছেন ১২১২ জন ও ১ মাসে ভর্তি হয়েছেন ৫৪৪২ জন,।হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি বাসা-বাড়ীতে ডায়রিয়ার আক্রান্ত রোগী বেড়েছে কয়েকগুণ,। মেডিকেল থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার ফার্মেসীতে ওরস্যালাইনসহ ডায়রিয়াজনিত রোগের বিক্রি বেড়েছে,।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় সিলেট বিভাগে ১১৮ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন,। এদের মধ্যে সিলেট জেলার ৩৭ জন, সুনামগঞ্জের ৮ জন, হবিগঞ্জের ৩৪ জন ও মৌলভীবাজারের ৩৯ জন রয়েছেন,।
গত ১ সপ্তাহে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১২১২ রোগীর মধ্যে সিলেট জেলার ৪৫৩ জন, সুনামগঞ্জের ১০৪ জন, হবিগঞ্জের ৩৪৬ জন ও মৌলভীবাজারের ৩০৯ জন রয়েছেন,।
গত ১ মাসে সিলেট বিভাগে ডায়রিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৪৪২ জন,।এরমধ্যে সিলেট জেলার ২০১৩ জন, সুনামগঞ্জের ৩৮৯ জন, হবিগঞ্জের ১৩৮৪ জন ও মৌলভীবাজারের ১৬৫৬ জন রয়েছেন,।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে আরো জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারী থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১৪৬০ জন,। এরমধ্যে সিলেট জেলার ৩৮৫৪ জন, সুনামগঞ্জের ১৪০৯ জন, হবিগঞ্জে ৩৩২৬ জন ও মৌলভীবাজারের ২৮৭১ জন রয়েছেন,। তবে এই সময়ে আক্রান্ত ১১৪৬০ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১০৯০৯ জন,। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে ঠিক,। তবে এটা উদ্বেগজনক নয়,। বিশেষ করে রমজান মাসে ভাজা-পোড়া বেশী খাওয়া হয়,। আর এসব খাবার থেকে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দেখা দিতে পারে,। এর কারণেও পাতলা পায়খানা হতে পারে,। তিনি বলেন, সব সময় নিজে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে,। অন্যান্যদেরকেও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের দিকে একটু খেয়াল রাখতে হবে,।