৫ দিন পর উদ্ধার শিশুর মরদেহ।
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় নিখোঁজের ৫ দিন পর ধানখেতে পুঁতে রাখা ৯ বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সানজিদা খাতুন নামে ওই শিশুর সৎ বাবা শরিফুল ও প্রতিবেশী মামা হাসমতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সলঙ্গা থানার অলিদহ পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি ধানখেত থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাঁরা হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানায় পুলিশ। তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সানজিদা খাতুন আমশড়া গ্রামের শাহিনের মেয়ে। গ্রেপ্তার শরিফুল অলিদহ গ্রামের মো. নুরালের ছেলে ও হাসমত আলী একই গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, প্রথম স্বামী শাহিনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর শরিফুলকে বিয়ে করেন সানজিদার মা জরিনা খাতুন। তিনি ছিলেন শরিফুলের চতুর্থ স্ত্রী। তাঁদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে দেড় মাস আগে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাবারবাড়ি চলে যান জরিনা। শরিফুল তাঁকে ফিরিয়ে আনতে অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু ফিরে না আসায় জরিনার প্রতিবেশী ভাই হাসমতের শরণাপন্ন হন শরিফুল।
সানজিদাকে অপহরণের জন্য শরিফুলকে পরামর্শ দেন হাসমত আলী। সে অনুযায়ী অপহরণের পরিকল্পনা করেন তাঁরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১০ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে হাসমত ও শরিফুল সানজিদাকে অপহরণের চেষ্টা করেন। চিপসের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই সময় সানজিদা চিৎকার করলে তাকে গলাটিপে হত্যা করেন তাঁরা। এরপর কবরস্থানের জঙ্গলে মরদেহ ফেলে রেখে যান। পরে ওই রাতেই তাঁরা মরদেহ পাশের একটি ধানখেতে পুঁতে রাখেন।
এদিকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর সানজিদার সন্ধান না পেয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি তার নানা জহুরুল ইসলাম থানায় জিডি করেন।
ওসি এনামুল আরও বলেন, জিডি হওয়ার পর পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা হত্যার দায় স্বীকার করেন। তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে ধানখেতে পুঁতে রাখা অবস্থায় সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।