নারীর আগুনে পোড়া সেই মরদেহের পরিচয় সনাক্ত।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ইকড়সই এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত আগুনে পোড়া অজ্ঞাত নারীর মরদেহের পরিচয় সনাক্ত করেছে পুলিশ।
নিহতের নাম পিয়ারা বেগম ওরফে রিনা বেগম (৫৩)। সে দিরাই উপজেলার মাতারগাঁও গ্রামের চন্দন মিয়ার স্ত্রী।
ঘটনায় শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে ওই নারীর মেয়ে সুভা বেগম বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সকালে জগন্নাথপুর পৌর শহরের ইকড়ছই জামিয়া ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা পিছনে ধানক্ষেতের পাশে অজ্ঞাত এক নারীর আংশিক আগুনে পোড়া মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। পরে সিআইডি ও পিবিআই বিশেষজ্ঞ দল ওই নারীর আঙ্গুলের ছাপসহ প্রয়োজনীয় নমুণা সংগ্রহ করে তার পরিচয় শনাক্ত করে। এরপর থেকে ওই নারীর স্বজনদের সন্ধানে অভিযানে নামে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে দিরাই উপজেলার টংগর গ্রামে ওই নারীর মেয়ে সুভা বেগমের সন্ধান পাওয়া যায়।
নিহতের মেয়ে সুভা বেগম বলেন, ৩০ বছর আগে আমার বাবার সাথে আমার মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি চন্দন মিয়াকে বিয়ে করেন। ৫ বছর আগে আবার চন্দন মিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর তিনি আমার স্বামীর বাড়ি থাকতেন। এক মাস আগে তিনি আমার খালার বাড়ি দিরাই উপজেলার রায়বাঙ্গালী গ্রামে বেড়াতে যান। সেখান থেকে গত মঙ্গলবার ছাতক উপজেলার শ্রীমতিপুর যাওয়ার পথে তিনি নিখোঁজ হন। পরে পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে মর্গে গিয়ে মায়ের আগুনে পোড়া মরদেহ দেখতে পাই। আমার মাকে খুন করা হয়েছে। কে বা কারা করেছে তা জানি না।
জগন্নাথপুর থানা ওসি আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই নারীর দুটি বিয়ে হয়। দ্বিতীয় স্বামী চন্দন মিয়ার সঙ্গেও অনেকদিন ধরে সম্পর্ক নেই। ময়নাতদন্ত শেষে ওই নারীর পরিচয় পাওয়ার পর তাঁর মেয়ের পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর মেয়ে বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।