এমপি মোকাব্বির বলেন,ধনী-গরীব সবারই আত্মসম্মানবোধ রয়েছে।
সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খান বলেছেন, “বিশ্বনাথের সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। একদিকে বাসিয়া নদীর তীরসহ বিভিন্ন সড়কের পার্শ্বে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য আন্দোলন করবেন, অন্যদিকে রাতের আধাঁরে সেই দখলদারদের বাড়িতে গিয়েই আবার দাওয়াত খাবেন তা হবে না। নিজের অবস্থান সুস্পস্ট করে সততা ও নিষ্টার সাথে জনকল্যাণে কাজ করে যেতে হবে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভালো রাখার জন্য প্রয়োজনে গূরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। ধনী-গরীব সবারই আত্মসম্মানবোধ রয়েছে, তাই ‘বিচার বা সালিস বৈঠক’ স্যোসাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে মানুষের আত্মসম্মানে আঘাত করা ঠিক নয়। সর্বোপুরী এলাকার উন্নয়নে আমাদেরকে শতভাগ সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে।” তিনি বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকালে সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন। উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, পৌর মেয়রের করা সালিশ বৈঠকগুলো সরাসরি লাইভে প্রচার করার কারণে উপজেলা ও পৌর এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষের মনে ক্ষোভ বাড়ছে, দ্রুত এটি (বিচার লাইভে প্রচার করা) বন্ধ করা না হলে বিশ্বনাথের আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। বাসিয়া নদীর তীর ও বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজী সড়কসহ সকল সড়কের পার্শ্বে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ও আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য নদী-খাল-বিল-হাওর পুনঃখনন করার উদ্যোগ নেওয়ার দাবী জানান বক্তারা। উপজেলা ও পৌর এলাকায় থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ির রাস্তাগুলো সিসি বা আরসিসি ঢালাই করে দেওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় থাকা সড়কগুলোর সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার দাবী জানানো হয় সভায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জুলিয়া বেগম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা জাহান সরকার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন সুমন, থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলী, রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী গণি, দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খান, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুর রহমান মিলাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, বিশ্বনাথ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন ইমরান, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, আশিক আলী, কামাল মুন্না, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শংকর দাশ শংকু, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১’র বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম আব্দুল্লাহ শিকদার, বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, বিশ্বনাথ দারুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নু’মান আহমদ, মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নেহারুন নেছা, এমপির এপিএস অসিত রঞ্জন দেব, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা আমির হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বদরুন নাহার, সমাজসেবা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।