মশা নিয়ন্ত্রণ করতে বই নিয়ে স্কুলে স্কুলে মেয়র আতিক।
এডিস মশা ও ডেঙ্গু এবার জায়গা করে নিলো শিশুদের বইয়ে। ডেঙ্গু সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে শিশুদের জন্য বইটি প্রকাশ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। ১২ পৃষ্ঠার বইয়ে এডিস মশার বিস্তার ঠেকানো ও মশার কামড় থেকে রক্ষার নানা কৌশল তুলে ধরা হয়েছে। মেয়র বলছেন, শিশুদের সচেতন করা গেলে পরিবারের বড়রাও সচেতন হবে। বাংলা, ইংরেজি, গণিতের মতো নিয়মিত পাঠ্য বইয়ের বাইরে শিশুদের হাতে ভিন্ন আঙ্গিকের একটি নতুন বই। রঙিন মলাটের বইটির বিষয়বস্তু- ‘মশা’। ডেঙ্গু নিয়ে সচেতন করতে শিশুদের জন্য এই বই ছাপিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি। ‘মশার কামড় ক্ষতিকর’ নামের বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে কেমন করে এডিস মশা থেকে প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হয়। কোথায় এডিস মশা জন্মায়। কেমন করে এটির বিস্তার ঠেকাতে হয়। কার্টুন, ধাঁধা, ছবি আঁকা। মজার ছলে এই বইয়ের মাধ্যমে শিশুরা রপ্ত করতে পারবে মশার বিরুদ্ধে রণকৌশল। বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ (বালিকা শাখা) শাখা থেকে মেয়র আতিকুল ইসলাম স্কুলে স্কুলে সচেতনতামূলক কার্টুন বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ শুরু করেন। পরে তিনি আরও চার স্কুলে শিক্ষার্থীদের বইটি তুলে দেন। মূলত বইটি যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি ডেইড কাউন্টির শিশুদের জন্য ছাপানো একটি সচেতনতামূলক বইয়ের বাংলা অনুবাদ। পাঁচটি স্কুলের ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে বইটি বিতরণ করা হয়। শিক্ষার্থীরা বইটি পাওয়ার পরে অংকন করে। অংকনে ভাল করায় প্রতি ক্লাসের ৫ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার তুলে দেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি গার্লস স্কুলে বইটি বিতরণের সময় উত্তরের মেয়র ডেঙ্গুর এই সময়ে শিশুদের ফুলহাতা পোশাক পরে স্কুলে আসতে বলেন। ঘরের কোথাও যেন জমা পানি না থাকে সে ব্যাপারে বড়দের খেয়াল রাখতে বলেন। লালমাটিয়া গার্লস স্কুলেও চলে এই সচেতনতা। মেয়র জানান, প্রাথমিকভাবে এক লাখ বই ছাপানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উত্তর সিটির সব স্কুল শিক্ষার্থীদের হাতে বইটি পৌঁছে দেয়া হবে। শিশুরা সচেতন হলে বড়দেরও তারা সতর্ক করতে পারবে। এ সময় আতিকুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গু মোকাবিলায় তিন স্তরে কাজ করবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। প্রথম স্তরে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি কাজ করবে। দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাপিড অ্যাকশন টিম। আর তৃতীয় স্তরে রয়েছে মেয়রের নেতৃত্ব কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং টিম।