ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জরুরী সিলেটে, ১৬৩ মেট্রিক টন চাল ও ১৩ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জরুরী বৈঠক করেছে সিলেট জেলা প্রশাসন, বৈঠকে সম্ভাব্য দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৩ টি উপজেলায় জিআর (গ্র্যাচুয়েট রিলিফ) নগদ অর্থ ১ লক্ষ টাকা হারে মোট ১৩ লক্ষ টাকা এবং পৌরসভা এবং উপজেলা পর্যায়ে ১৬৩ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগকালীন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের মধ্যে প্রয়োজনীয় খাবার বিতরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রোববার সকালে সিলেট জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জরুরী বৈঠকে জেলার সকল উপজেলায় পাহাড় ও টিলার পাদদেশ এবং নদী তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী লোকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া ও সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে মাইকিং করাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া সব উপজেলা প্রশাসনকে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার জন্যও নির্দেশনা দেয়া হয়। বৈঠকে জানানো হয়- ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪-৪৮ মিমি) থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে পাহাড় ও টিলার পাদদেশে নদীর তীরবর্তী স্থানে ভূমিধ্বস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলার জন্য মেডিকেল টিম, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ত্রাণ তৎপরতা ও উদ্ধারকার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিজিবি, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জরুরি সভায় সিলেটের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি, এসএমপি প্রতিনিধি, ৪৮-বিজিবির অধিনায়ক, নির্বাহী প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, উপপরিচালক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।