সিলেট সিটি করপোরেশন কি ‘সিগন্যাল’ পেলেন মেয়র আরিফ?।
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) ভোটের ঠিক আগ মুহূর্তে লন্ডনে গেছেন বিএনপি নেতা ও বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করার ঘোষণার মধ্যে তার এ সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় একাধিক নেতার দাবি, মেয়র আরিফ লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে নির্বাচন ও প্রার্থিতা নিয়ে আলোচনা করতেই গেছেন। এ নিয়ে নগরজুড়ে শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, ভোটারদের মধ্যে নানা আলোচনা ও নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে।
যদিও এ বিষয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার ঘনিষ্ঠ এক নেতা জানিয়েছেন, দেশে ফিরে তিনি তার সিদ্ধান্ত (মেয়র পদে অংশ নেওয়া না নেওয়া) সাংবাদমাধ্যমকে জানাবেন। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই সিলেট নগরবাসীর মধ্যে আলোচনা চলছে বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রার্থিতা নিয়ে।
এদিকে, লন্ডনের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেনর পার্ক এলাকার রয়েল রিজেন্সি সেন্টারে যুবদলের আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন মেয়র আরিফ। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে শুধু এই কথাতেই সীমাবদ্ধ থাকলেন না। পরের কথায় বলে দিলেন ‘পেয়ে গেছেন সিগন্যাল’!
বক্তব্যের একপর্যায়ে ‘একটি সিগন্যাল’ পেয়েছেন এমন কথা বলায় এখনো দোটানায় নেতাকর্মীরা। সিলেটবাসীও অপেক্ষায় তার মুখ থেকে পরিষ্কার ‘হ্যাঁ অথবা না’ শব্দ শোনার জন্য।
তবে তার এমন বক্তব্যে নতুন কিছুর আভাস পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তাই বিএনপি থেকে হয়তো সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না আরিফ। হতে পারে এটি দল থেকে পদত্যাগ করে ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সিগন্যাল’!
সিলেট বিএনপির একজন নেতা জানান, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সোমবার তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। লন্ডনের অভিজাত কিংস্টন এলাকায় তাদের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় পদে থেকে নির্বাচনে গেলে আরিফ দল থেকে বহিষ্কৃত হবেন। তিনি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করবেন না। তবে বিএনপি নির্বাচনে না গেলেও দলীয় পদ ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও আরিফুল হক চৌধুরীকে বহিষ্কার হতে হবে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী টানা দুবারের মেয়র।
২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী কামরান ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে আছেন বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী।