বিরোধীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করছে ।
সংকটকালেও দেশে রাজনৈতিক অশান্তি তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধীরা। সংসদে এই অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, সরকারের সঙ্গে বিরোধীরা একত্রে কাজ করতে চাইলে আপত্তি নেই। বুধবার (২ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের শুরুতেই কার্যসূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব ছিল। সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা জবাব দেন বিভিন্ন বিষয়ে সংসদ সদস্যদের নানা প্রশ্নের। শুরুতেই খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, দেশে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাদ্য মজুদ আছে। প্রশ্নোত্তরপর্বে তিনি আরও বলেন, কিছু ব্যবসায়ীর কারসাজিতে বাজার থেকে পণ্য হাওয়া হয়ে যায়। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান সরকারপ্রধান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাই শুধু নই, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ কষ্টে ভুগছে। পণ্য পরিবহনও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যেখান থেকে খাদ্য বা তেল কিনতাম, যুদ্ধের কারণে সেখান থেকে কিনতে পারছি না। বিকল্প জায়গা খুঁজে বের করছি। সেখান থেকে যাতে আমরা খাদ্য, ডিজেল, তেল, সার আনতে পারি সেই ব্যবস্থা করছি। এমনকি এলএনজি আমদানির জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছি এবং নিয়েছি। বিএনপির এক সংসদ সদস্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদন তুলে ধরে সরকারপ্রধানের জবাব চান। প্রধানমন্ত্রী ওই সংবাদপত্রের উদ্দেশ্য নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন। জাবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হেডলাইন দিয়েছে সব দেশের চেয়ে বাংলাদেশে পণ্যমূল্য বেশি। কিন্তু ভেতরে যে ডাটা দিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ হিসাবে আসে না। বাংলাদেশ কয়েকটি দেশ থেকে ভালো অবস্থায় আছে। এরা কারসাজিটা এভাবেই করে। প্রত্যেক ক্ষেত্রে কিছু কিছু পত্রিকা এখন এমনভাবে একটা হেডলাইন করে যা বিভ্রান্তিকর। সঠিক তথ্য তারা দেয় না। বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের প্রতি সরকারের দোষ না খোঁজার পরামর্শ দেন।