শেখ পরশ বলেছেন, রাজপথে বিএনপিকে মোকাবিলা করতে যুবলীগই যথেষ্ট।
রাজপথে বিএনপিকে মোকাবিলা করতে যুবলীগই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ পরশ। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) যুবলীগকর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি জামায়াত গোটা বাংলাদেশে যে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে তার জবাব যে যুবলীগ সংগঠন হিসাবে যেকোন সময় দেবার সক্ষমতা রাখে সেই প্রমাণ আগামী ১১ নভেম্বরের মহাসমাবেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাল্লাহ। তিনি আরও বলেন, চ্যালেঞ্জ এবং দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে আমাদের ১১ নভেম্বরের মহাসমাবেশ সফল করতে হবে। কারণ আমাদের উপলব্ধি করতে হবে যে কোন প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুকন্যা যুবলীগকে এই মহাসমাবেশ আয়োজন করতে বলেছেন। কেন বলেছেন এবং কি উদ্দেশ্যে বলেছেন নিশ্চয়ই আপনারা অনুধাবন করতে পারবেন। শেখ পরশ বলেন, শেখ হাসিনার ভোট ও ভাতের অধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রধান শক্তি হিসাবে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। আমি মনে করি এই সমাবেশে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার সম্মতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের উপর সর্বচ্চ আস্থা রেখেছেন। এখন সেই আস্থার মর্যাদা আমাদেরই দিতে হবে। কারণ স্বাধীনতা বিরোধীরা যেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তাতে রাজনৈতিক শক্তি এবং সামর্থ্য প্রদর্শন করা এখন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা ওদের সতর্ক করতে চাই যে ঐ স্বাধীনতা বিরোধীদের মোকাবেলার করার জন্য যুবলীগ একাই একশ। তিনি আরও বলেন, ১১ নভেম্বর আপনাদের প্রিয় সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণ জয়ন্তী। এক প্রকার কাঁকতালিয় ভাবে আমার জন্য পরম সৌভাগ্যেরও ব্যাপার যে যেই প্রতিষ্ঠানটি আমার পিতা, আপনাদের নেতা ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, শেখ ফজলুল হক মণি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে গঠন করেছিলেন। সেই গর্বিত সংগঠনটিকে এই সুবর্ণজয়ন্তীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আপনাদের সহযোদ্ধা হিসাবে আমার নেতৃত্ব দেবার সুযোগ হয়েছে। এই সম্মান এবং সুযোগ পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে হাজারো শুকরিয়া। সভায় বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ত্যাগী এবং কর্মীবান্ধব সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, যুবলীগের নেতা-কর্মিরা আদশের এই সংগঠনকে ভালোবাসে বলেই শেখ হাসিনার ডাকে রাজপথে নেমে আসে। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের আহবায়ক ও সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক বাবু সুব্রত পাল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ত্রান ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম দূর্জয়, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর এর সহ-সভাপতি মজিবর রহমান বাবুল, আকতারুজ্জামান আকতার, সাব্বির আলম লিটু, যুগ্ম সম্পাদক তাজবিরুল হক অনু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর রহমান, সিদ্দিক বিশ্বাস, সিবলী সাদিক, মামুন সরকার, প্রচার সম্পাদক রাকিব হোসেন মিরন, দপ্তর সম্পাদক এ এইচ এম কামরুজ্জামান, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এম এইচ পাটোয়ারী বাবু, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাহীন, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক কাইসুর রহমান সোহাগ, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দিন, সহ-সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সদস্য ষামনুল আলম ফারুক, আব্দুল বাতেন প্রমুখ।