বিএনপির নেতা-কর্মীরা রংপুরে দলবেঁধে জড়ো হচ্ছেন।
রংপুরেও বিএনপির গণসমাবেশ সামনে রেখে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। শহর থেকে কোন ধরনের যানবাহনই ছাড়ছে না। অন্য জেলাগুলোর সঙ্গেও রংপুর শহরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। যদিও কি কারণে এ ধর্মঘট- এমন প্রশ্নে উত্তরে পরিবহন মালিকরা কিছু বলছেন না। এ অবস্থায় নানা কৌশলে রংপুরে এসে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। শনিবার রংপুর নগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। এরিমধ্যে সমাবেশস্থলে সাজ সাজ রব; আর দল ধরে আসছেন নেতাকর্মীরা। কিন্তু সমাবেশের আগেই রংপুরে শুরু হয়েছে পরিবহন ধর্মঘট। বিভাগের আট জেলার সাথে বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগ। রংপুর থেকে ঢাকা, সিলেট, চট্রগ্রামগামী কোন বাস টার্মিনাল ছাড়েনি। তেমনি কোন বাস রংপুরে ঢুকতেও পারেনি। কিন্তু কেন এই ধর্মঘট তা নিয়ে স্পষ্ট কোন জবাব মিলছে না। এমনকি মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারাও বলছেন না কেন এই পরিবহন ধর্মঘট। বাস শ্রমিকরা বলছেন, মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এই ধর্মঘট। শুক্রবার ধর্মঘট ডাকা হলেও বৃহস্পতিবার থেকে সড়ক পথে যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। রংপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে দিনভর দাঁড়িয়ে ছিলো সারি সারি বাস। পরিস্থিতি না জেনেই অনেকে নানা বাহনে করে রংপুরে এসে বিপদে পড়েছেন। সড়কে ব্যাটারিচালিত কিছু অটো রিকশা ছাড়া আর কিছু চলছেনা। বন্ধ রয়েছে শহরের বেশিরভাগ দোকানপাট। যে কারো মনে হতে পারে শহরে বুঝি কোন ধর্মঘট চলছে। এমন পরিস্থিতি হতে পারে জেনেই আশে পাশের জেলাগুলো থেকেই শুক্রবার মধ্যরাতেই রংপুরে পৌঁছান বিএনপি নেতা কর্মীরা। অবস্থান নেন শহরের নেন বিভিন্ন পরিত্যক্ত ভবনে। শুক্রবার সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। দুই দিনের বাস ধর্মঘটের কারণে নেতাকর্মীরা যে যেভাবে পারছেন আগেভাগেই রওনা দিয়েছেন। এ ছাড়াও অনেকে আবাসিক হোটেল, ছাত্রবাস, স্বজন, পরিজন ছাড়াও রংপুর নগরীর বাইরে বিভিন্ন উপজেলার আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে উঠেছেন। এরিমধ্যে শনিবার দুপুরে হতে যাওয়া সমাবেশের প্রস্তুতি শেষ করেছে রংপুর জেলা বিএনপি। মঞ্চ তৈরির কাজ প্রায় শেষ। রংপুর নগরীসহ বিভাগের সব জেলা-উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ড-গ্রাম পর্যন্ত বিএনপির পোস্টার- ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। বিএনপির গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে একটি পরিচ্ছন্ন সমাবেশ। স্মরণকালের সর্ববৃহৎ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
জনসমাগম কাকে বলে বিএনপিকে বুঝিয়ে দেয়া হবে: কাদের রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু বলেন, পুলিশ চেষ্টা করলেও মানুষের স্রোত আটকাতে পারবে না। সমাবেশস্থলে লোকজন আসতে শুরু করেছেন। এদিকে রংপুরে বিএনপির গণসমাবেশকে ঘিরে যেকোনো ধরনের নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কঠোর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে পুলিশ প্রশাসন।