Sobujbangla.com | ৮ শ্রমিকের লাশ ফিরিয়ে পাওয়ার দাবি মিরসরাইয়ে নিখোঁজ বাড়িতে শোকের মাতম।
News Head
 আবারও সহযোগিতা করল যুক্তরাষ্ট্র, রোহিঙ্গাদের জন্য ২ হাজার কোটি টাকার অজিত সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। আওয়ামী লীগের, সাবেক এমপি আউয়াল গ্রেপ্তার। পুলিশের ওপেন হাউজডে-মতবিনিময় সভা দোয়ারাবাজারে । সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলার আসামি ওসি মঈনকে ছেড়ে দেয়ায় সিলেট ক্ষোভ। ৮ দফা দাবিতে সিলেটে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। গ্রেফতার ২ ধর্ষণ স্কুলছাত্রী অভিযোগে কমলগঞ্জে। উনিশ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত। ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৩৭ লাখ মানুষ, বিধ্বস্ত ৩৫ হাজার ঘরবাড়ি’। এগারো উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা শপথ নিলেন। সিলেটে ওসমানী বিমানবন্দরে আটকা পড়েছে ৬টি ফ্লাইট।

৮ শ্রমিকের লাশ ফিরিয়ে পাওয়ার দাবি মিরসরাইয়ে নিখোঁজ বাড়িতে শোকের মাতম।

  |  ২১:১৫, অক্টোবর ২৫, ২০২২

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে পড়ে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সাগরে ড্রেজার ডুবিতে পটুয়াখালীর সদর উপজেলার ৮ জন শ্রমিকের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। এদিকে ঘটনার ২২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মেলেনি ৮ জন শ্রমিকের সন্ধান।  ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে পড়ে সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সাগরে ড্রেজার ডুবে আট শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। এই খবর নিখোঁজ শ্রমিকদের বাড়িতে পৌঁছার পর স্বজনরা বুকফাটা কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিখোঁজ ৮ শ্রমিক হলেন- সদর উপজেলার চর জৈনকাঠি গ্রামের আ. রহমানের ছেলে মো. তারেক মোল্লা, আনিচ মোল্লার দুই ছেলে ছেলে শাহীন মোল্লা ও ইমাম মোল্লা এবং আ. হক মোল্লার ছেলে মাহমুদ মোল্লা, ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে মো.বসার হাওলাদার, নুরু সর্দারের ছেলে মো.আলম সর্দার, সেকান্দার রারির ছেলে মো.জাহিদ রারি এবং রহমান ফকিরের ছেলে মো.আল-আমিন ফকির। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সদর উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের চর জৈনকাঠি গ্রামটি পরিণত হয়েছে শোকের গ্রামে। নিখোঁজ শ্রমিকদের বাড়িতে চলছে মাতম। কেউ সংসারের উপার্জনক্ষম একমাত্র ব্যক্তিকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। কেউবা স্বামীকে হারানোর সংবাদে আহাজারি করছেন। নিখোঁজ সন্তানের চিন্তায় বাবা-মায়ের আর্তনাদে ভারী হয়ে পড়েছে গ্রামের বাতাস। বাবা হারানো সন্তানদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও খুঁজে পাচ্ছেন না প্রতিবেশীরা। দেখা যায়, খাদিজা বেগম নামের এক নারী তার স্বামী শাহিন মোল্লাকে হারিয়ে পাগলপ্রায়। তিনি কাঁদছেন আর বলছেন ৪ সন্তানকে কে দেখবে কে খাওয়াবে। এসময় নিখোঁজ দুই শ্রমিকের বাবা আনিচ মোল্লা বলেন,‘ আমাদের বাড়ির ৪ ছেলে নিখোঁজ। এর মধ্যে আমার দুই ছেলে। ওরা গত ১ মাস আগে ড্রেজারে চুক্তিতে কাজ করতে গেছে। সোমবার যখন বন্যা শুরু হইছে তহন আমাগো লগে ফোন দিয়া কথা কইছে। এর কতক্ষণ পর হইতে ফোন বন্ধ। আমি কিছু চাইনা আমার পোলা দুইডার লাশ চাই, আমার পুত আমার কাছে ফিরাইয়া দেন।’ নিখোঁজ শ্রমিক মো.তারেক মোল্লার বাবা আব্দুর রহমান বলেন,‘আমার বুকটা খালি হইয়া গেছে কে খাওয়াইবে আমাগো, আমাগো ঘরের একমাত্র ইনকাম করতে আমাগো তারেক। আমার তারেকের লাশটা দেন আইন্না।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ