Sobujbangla.com | সিলেটের বিশ্বনাথে মেয়র পদে মূল লড়াইয়ে চার প্রার্থী।
News Head

সিলেটের বিশ্বনাথে মেয়র পদে মূল লড়াইয়ে চার প্রার্থী।

  |  ২০:৫৩, অক্টোবর ২৫, ২০২২

উপজেলা নির্বাচনের দীর্ঘ তিন বছর পর আগামী ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে পৌর এলাকাসহ পুরো উপজেলাজুড়ে বইছে নির্বাচনী আমেজ। মেয়র, কাউন্সিলরসহ তিন পদে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় মুখরিত পৌর শহর। নির্বাচনে ৭ মেয়র প্রার্থী অংশ নিলেও ভোটের মাঠে মূল লড়াইয়ে আলোচনায় রয়েছেন চার প্রার্থী। তবে কে হচ্ছেন নবগঠিত বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম পৌর পিতা তা এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা মাত্র। পৌর পিতা আগামী ২ নভেম্বর ঠিক করবেন পৌর এলাকার ৩৫ হাজার ভোটার। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চার প্রার্থীর মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ (নৌকা), আওয়ামী লীগ ঘরনার নেতা সাবেক দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান (জগ), দল থেকে পদত্যাগ করা উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন (হ্যাঙ্গার), নিউহাম বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ক্রীড়াঙ্গনের প্রিয়মুখ মুমিন খান মুন্না (মোবাইল ফোন)। এই চার প্রার্থীর মধ্যে সমান সমান লড়াই দেখছেন ভোটার ও সমর্থকরা। তাদের প্রচারণাও চলছে জোড়েসোড়ে। ফারুক আহদের পক্ষে নৌকাকে বিজয়ী করতে একসাথে মাঠে নেমেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এতে করে এতদিন এই দুই বলয়ে নেতাকর্মিদের মধ্যে মৌন দ্বন্দ্ব থাকলেও এই নির্বাচনকে ঘিরে সকল বেদাবেদ ভুলে একসাথে নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে। ফলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত দেখছেন ভোটার ও সমর্থকরা। এদিকে, নিজস্ব সমর্থক ও ভোটার রয়েছে জনপ্রিয় দুইবারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমানের। আওয়ামী লীগের পদপদবী না পাওয়া একটি অংশ তার পক্ষে প্রচারণা সরব রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া গত সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। সেখানে ভোট দিতে না পারায় আফসোস করছেন ভোটররা। সেই আফসোস মেটাতে এবার ভোটাররা জগ মার্কায় ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন বলে বলছেন মুহিবুর রহমানের সমর্থকরা। আর যুক্তরাজ্য নিউহাম বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা মুমিন খান মুন্নার মোবাইল ফোন মার্কার পক্ষে বিএনপির বড় একটি অংশ কাজ করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। ইতিমধ্যে সামাজিক ভাবে তরুণদের কাছে প্রিয়মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। এছাড়া লক্ষ টাকার ফুটবল টুর্ণামেন্টের প্রধান সমন্বয়ক হওয়ায় তার পক্ষে ক্রীড়াঙ্গনের সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা জোড়েসোড়ে মোবাইল মার্কার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। এমনকি যুক্তরাজ্য থেকেও তার পক্ষে ভোট চাইছেন সাবেক বিএনপির নেতারা। তাই তরুণ এই প্রার্থীর বিজয় দেখছেন সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকা পৌরসভার তরুণ ভোটাররা ও বিএনপির একটি বড় অংশ। অপরদিকে, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করে মেয়র নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন জালাল উদ্দিন। বিএনপির একটি অংশও তার পক্ষে সরব রয়েছে। তিনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানও ছিলেন। সব মিলিয়ে জালাল উদ্দিনের হ্যাঙ্গার মার্কার নিশ্চিত জয় দেখছেন তার সমর্থকরা। তবে, নির্বাচনের শেষ মূহুর্তে বিএনপির মৌন একটি নির্দেশনা আসবে। সেই নির্দেশনা যার পক্ষে আসবে সেই বিএনপির ভোটের ভাগিদার হবে এমন মন্তব্য বিশিষ্টজনের। এছাড়াও পিছিয়ে নেই বাকি তিন প্রার্থীও। তারা হলেন জমিয়ত মনোনীত প্রার্থী মাওলানা শিব্বির আহমদ (খেঁজুর গাছ), আল-ইসলাহ সমর্থিত প্রার্থী তালুকদার ফয়জুল ইসলাম (চামুচ), যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন (নারকেল গাছ)। তাদের পক্ষেও তাদের সমর্থকরা দিন-রাত প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। উল্লেখ্য, আগামী ২ নভেম্বর ভোট গ্রহণ। বিশ্বনাথ পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪৭০। পুরুষ ভোটার ১৮ হাজার ২৭৯, নারী ভোটার ১৭ হাজার ১৯১।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ