ফায়ার সার্ভিসের লোকের এসেছে সব পুড়ে যাওয়ার পর। শান্তিগঞ্জে আগুনে ১০ ঘর পুড়ে ছাঁই।
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় আগুনের লেলিহান শিখায় ১০টি ঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। গ্রামবাসী অনেক চেষ্টা করেও আগুন নিভাতে পারেনি। অগ্নিকাণ্ডে সব কিছু হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের শিশু নারীসহ বয়স্করা। শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার তেরহাল গ্রামে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের উৎপত্তি হয়েছে বলে জানা যায়। অগ্নিকাণ্ডের খবর ফায়ার সার্ভিস পেলেও গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকার করনে ঘটনাস্থলে সময়মতো পৌঁছাতে পারেনি। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অগ্নিকাণ্ডে ১০ টি বসতঘর, আসবাবপত্র, গোলায় থাকা ধানসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পুরে প্রায় প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, মধ্যরাতে দেখি হঠাৎ আগুন জ্বলছে। কিছু বুঝে উঠার আগেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায়। আগুনে ১০ টি ঘরের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এখন কোথায় থাকবো কোথায় খাব জানিনা। স্থানীয় আব্দুর রহিম, রউফ মিয়া বলেন, আগুন লাগার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিয়েছি। ফায়ার সার্ভিসের লোকের এসেছে সব পুড়ে যাওয়ার পর। অনেক চেষ্টা করেও গ্রামবাসী আগুন নিভাতে পারেনি। বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। শান্তিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জিসান রহমান নাবিক বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। আগুনে অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন এবং শিমুলবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান শাহিন। তারা তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন এবং অতিদ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দেন।