সিলেট জেলা,অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এ কারণে সিলেটে ভোটের আমেজ কিছুটা হলেও কমেছে। তবে আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় ভোটে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এবার সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী সদস্য প্রার্থী হয়েছেন ৬৪ জন। তাদের মধ্যে ২১ জনই ‘স্বশিক্ষিত’। বাকিদের মধ্যে সাতজন প্রার্থী মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। অন্য প্রার্থীরা মাধ্যমিক পাস থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের এ সাধারণ সম্পাদকের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। ফলে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে সংরক্ষিত ৫টি ওয়ার্ডে ১৭ জন নারী এবং ১৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীদের হলফনামা সূত্রে জানা যায়, সদস্য পদে নারী ও পুরুষ মিলিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৬৪ প্রার্থীর মধ্যে ২১ জনই ‘স্বশিক্ষিত’। তারা হচ্ছেন- ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য মোহাম্মদ শাহা নুর, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ মকবুল হোসেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আতিকুর রহমান ও মো. নাসির উদ্দিন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ আহমদ বহলুল, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের স্যায়িদ আহমদ, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ময়েজ আহমদ ও মোহাম্মদ আবদুল কাদির, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শাহজাহান, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের আলিম উদ্দিন ও আবদুল জলিল, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আপ্তাব আলী ও মো. শামসুদ্দীন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইমাম উদ্দিন চৌধুরী ও ফখরুল ইসলাম এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আবুর রহমান। এছাড়া ১ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ফারজানা রহমান ও জান্নাতুন নাসরিন, ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে শামীমা আক্তার, ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে রোমানা আফরোজ ও হাছিনা বেগম ‘স্বশিক্ষিত’। এদিকে, যেসব প্রার্থী মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে পারেননি তাদের মধ্যে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সালমা রহমান, ৪ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মরিয়ম বেগম, সুমি বেগম ও রাহিমা বেগম এবং ৫ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সাজনা সুলতানা হক চৌধুরী। এছাড়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. নজরুল হোসেন নবম শ্রেণি এবং আলী আহমদ দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।