র্যাবের জালে আটক, জঙ্গি প্রশিক্ষণ ৩৮ জন, তাদের প্রশিক্ষণ হতো পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ে
হিজরতের নামে ঘরছাড়া অর্ধশতাধিক তরুণের মধ্যে ৩৮ জনের পরিচয় পেয়েছে র্যাব। কুমিল্লা থেকে নিরুদ্দেশ ৩ জন ও তাদের দুই মদদদাতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণ হতো পার্বত্য এলাকায়।
নিরুদ্দেশ ৩ জন ও তাদের দুই মদদদাতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণ হতো পার্বত্য এলাকায়।
আত্মগোপন থেকে ফিরে আসা নিলয়ের সূত্র ধরে গত ৬ অক্টোবর মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহ থেকে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এবারে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার আরও ৩ জন। এ নিয়ে নিরুদ্দেশ ১০ জনে গ্রেপ্তার করা হলো।
এই তরুণরা হিজরতের নামে জঙ্গীবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সামরিক ট্রেনিং নিয়েছে পার্বত্য এলাকায়। আর তাদের একত্রিত করে সংগঠিত করার গুরু দায়িত্ব ছিলো হাবিবুল্লাহর ওপর। তবে, বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটানোর আগেই র্যাবের জালে ধরা পরে নতুন জঙ্গী সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার এই সদস্যরা।
র্যাব বলছে, পার্বত্য অঞ্চলের কোন এক জায়গায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি সংগঠনের ছত্রছায়ায় তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ চলেছে। অর্থ যোগান হচ্ছে বিভিন্ন উৎস থেকে। শুধু তাই নয়; কিছু কিছু ক্ষেত্রে সদস্যদের পরিবারের কাছেও টাকা পাঠানো হতো।। কয়েকজনের পরিবার নাকি জানতেন, তাদের সন্তান বিদেশে আছেন। সংগঠনটির দাওয়াতী লিফলেটের বড় অংশজুড়ে বাংলাদেশের আইন ও আদালতের প্রতি সমর্থনকে কাফের হওয়ার সামিল বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্নস্থানে মুসলমানদের সাথে হওয়া সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সদস্যদের উজ্জীবিত করতেন নেতারা। বিভিন্ন স্থান থেকে নিখোঁজ হওয়া অর্ধশতাধিক তরুণের মধ্যে ৩৮ জনের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তালিকা প্রকাশ করেছে র্যাব। যাদের সবাই যোগ দিয়েছেন নতুন জঙ্গী সংগঠনে।
তবে, এই জঙ্গীদের শীর্ষ নেতৃত্ব সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি বলেও জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মইন।