বিএনপি ঐকবদ্ধ আন্দোলন নিয়ে দ্বিতীয় দফা সংলাপে।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সরকার হঠানোর আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি ঠিক করতে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু করেছে বিএনপি। ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে বিএনপি এই কর্মসূচি শুরু করলো। রোববার ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বেলা আড়াইটায় এই সংলাপ শুরু হয়। এতে বিএনপির পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। অন্যদিকে চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে কল্যাণ পার্টি থেকে সংলাপে অংশ নেন দলটির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবির পিন্টুসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন কমিটির শীর্ষ নেতারা। সরকার পতন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন এবং খালেদা জিয়াসহ সব নেতাকর্মীদের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবি আদায়ে শরিক ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে আসছে বিএনপি। প্রথম দফার আলোচনায় ২২ দলের সাথে মতবিনিমিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেয়। তার ধারাবাহিকতায় শনিবার দুপুরে গুলশানে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় দফার সংলাপ। এই দফার সংলাপে আন্দোলনের রুপরেখা চুড়ান্ত করতে চায় বিএনপি। বৈঠক শেষে যৌথ ব্রিফিংয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার পতনে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু হয়েছে। আজ (রোববার) আমরা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সাথে বসেছিলাম। তিনি বলেন, আন্দোলনের দাবি নিয়ে আমরা একমত হয়েছি। দাবিগুলো হচ্ছে- নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন, একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার। মির্জা ফখরুলের সাথে যোগ করে কল্যাণ পার্টি চেয়্যারম্যন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ধর্মীয় অঙ্গনে আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে দেয়া হয়েছে। তাদের মুক্তির ব্যাপারেও আমাদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি ও কল্যাণ পার্টি কোনো অবস্থাতেই ধর্মীয় অঙ্গনে নেতাদের উপর অত্যাচর-নিপিড়নকে অবহেলা করছে না। আমরা সেটাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। যুগপৎ আন্দোলনের তারিখ না জানালেও তিনি বলেন, চকম আছে। প্রস্তুত থাকতে পারেন। আমি মুক্তিযোদ্ধা, আমি মনে করি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে সংগ্রাম- সেটা আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ। সবাই মিলে লড়ব, জয়ী হব। জয় ব্যতীত অন্য কিছু নাই। কল্যাণ পার্টি আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। সংলাপে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, অতিরিক্ত মহাসচিব, নুরুল কবির পিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, যুগ্ম মহাসচিব রাশেদ ফেরদৌস সোহেল মোল্লা, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাহবুবুর রহমান শামিম, সেক্রেটারি জামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু হানিফ, সেক্রেটারি আবু ইউসুফ সুমন।