সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এলো দেশে এবার ৭ মাসের মধ্যে।
এবার রেমিট্যান্সও কমে গেলো। সদ্য বিদায়ী সেপ্টেম্বরে তা দেশে এসেছে প্রায় ১ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ৭ মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। রোববার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, গত মাসে বৈধ চ্যানেলে ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে যা ১৮ কোটি ৭২ লাখ ডলার বা ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম। আর গত আগস্টের তুলনায় কমেছে ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ। ওই মাসে রেমিট্যান্স আসে ২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার। ইতোমধ্যে দেশের মানুষ উচ্চ মূল্যস্ফীতির সম্মুক্ষীণ হয়েছে। সেই সঙ্গে ডলারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চাপে আছে বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, এ অবস্থায় প্রবাসী আয় কমে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সরকারের ওপর সেই চাপ আরও বাড়তে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ইতোমধ্যে রেমিট্যান্স হ্রাস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর তা কমে ৩৬ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে গেছে। ৩১ আগস্টের তুলনায় যা ৬ দশমিক ৭ শতাংশ কম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, আগামী দিনেও রেমিট্যান্স কমতে থাকলে বিদেশি মুদ্রার বাজারে চলমান অস্থিরতা আরও গভীর হবে। তাই আমাদের উচিত চলমান চাপ সামলাতে আরও বেশি রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে ব্যাংকগুলোকে উদ্বুদ্ধ করা। এরই মধ্যে ডলার সংকটে গত কয়েক মসে টাকার ব্যাপক অবমূল্যায়ন ঘটেছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রতি ডলারের বিনিময় হার ১০৭ টাকা ৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। গত ১ বছরের মধ্যে যা ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ কম। তবে চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) প্রথম প্রান্তিকে রেমিট্যান্স গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ শতাংশ বেড়েছে। এসময়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৫ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। এ অবস্থায় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের আঘাত লেগেছে দেশের রপ্তানিতে। সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক ধারায় গেছে। গত মাসে তা কমেছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ নিয়ে ১৩ মাস পর দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক ধারায় গেলো।