হৃদরোগ চিকিৎসায় বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে, দেশে বর্তমানে উন্নত মানের চিকিৎসা হয় : বিভাগীয় কমিশনার।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেছেন, হৃদরোগের লক্ষনসমূহ এবং তা থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আমাদের সবার জেনে রাখা উচিত। দেশের মানুষের জীবনযাত্রার ধরণ হৃদরোগের অন্যতম ঝুকিপূর্ণ কারণ। তাই এই ব্যাপারে প্রত্যেকেরই সচেতনতার প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার সকালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেট আয়োজিত গণমূখী সেমিনার অনুষ্ঠানের পূর্বে র্যালীতে অংশ গ্রহণ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, হৃদরোগ চিকিৎসায় বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে, দেশে বর্তমানে উন্নত মানের চিকিৎসা হয়। হৃদরোগ থেকে মুক্ত থাকতে হৃদবান্ধব খাদ্যাভাস গড়ে তুলতে হবে এর কোন বিকল্প নেই। একই সঙ্গে প্রয়োজন স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। কেবল ওষুধ নয় খাদ্যাভাসই পারে হৃদরোগ থেকে মুক্ত রাখতে। এসময় তিনি সিলেট ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডশন হাসপাতালে কয়েকটি বিভাগ ঘুড়ে দেখেন এবং এই হাসপাতালের হৃদরোগ চিকিৎসার ভূয়সী প্রসংশা করেন। র্যালী পরবর্তী সভায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এর সভাপতি প্রফেসর ডাঃ এম এনায়েত উল্লাহ এর সভাপতিত্বে পাবলিসিটি সেক্রেটারী আবু তালেব মুরাদের পরিচালনায় এবং হাফেজ আব্দুল বাছির কর্তৃক কোরআন তেলাওয়াতের পর বিশ্ব হার্ট দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেট এর সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. মোঃ আমিনুর রহমান লস্কর। গণমূখী সেমিনারে হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন সিলেট ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ভিজিটিং সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রফেসর ডাঃ মোঃ খালেদ মহসিন, করোনারী হৃদরোগ সমন্ধে বলেন সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মোহাম্মদ ইকবাল আহমদ, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ কৌশিক মজুমদার, জন্মগত হৃদরোগ নিয়ে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ ফারজানা তাজিন এবং ভালবোলার হার্ট ডিজিজ সম্পর্কে বলেন সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ আব্দুল্লাহ ইবনে আমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী। সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডাঃ এম এনায়েত উল্লাহ বলেন, একটা সময় হৃদরোগকে সাধারণত বয়স্ক মানুষের রোগ বলেই মনে করা হতো। কিন্তু আজকাল প্রায় সব বয়সী মানুষই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাই হৃদরোগের লক্ষণসমূহ এবং তা থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আমাদের সবারই জেনে রাখা উচিত।তিনি আরও বলেন গবেষণায় দেখা যায়, পারিবারিক ইতিহাস ও জেনেটিক বৈশিষ্ট্যই হৃদরোগের ক্ষেত্রে প্রধান ও নিয়ন্ত্রণের অযোগ্য কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, নিয়ন্ত্রণযোগ্য কারণেই মানুষ আজকাল হৃদরোগে আক্রান্ত হন বেশি। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,সহ সভাপতি এম মুহিবুর রহমান,সহ সভাপতি প্রফেসর ডা.সুধাংশু রঞ্জন দে,সহ সভাপতি এমএ করিম চৌধুরী,ট্রেজারার জামিল আহমদ চৌধুরী,সাংগঠনিক সম্পাদক ডা.হাবিবুল্লাহ সেলিম,কার্যকরী কমিটির সদস্য আব্দুল মালিক জাকা,সিইও কর্নেল(অব.)শাহ আবিদুর রহমান এবং উপ পরিচালক ডা.মোঃ আব্দুল মুনিম চৌধুরী প্রমুখ।