২৬ লাশ উদ্ধার, পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে দ্বিতীয় দিনে।
পঞ্চগড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় গতকাল সোমবার ( ২৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ৫০ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া লাশগুলোর সৎকার হয়েছে। স্বজনদের দাবি করছেন, এখনো ৩০ যাত্রী নিখোঁজ আছেন। নিখোঁজদের উদ্ধারে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। লাশ উদ্ধারের খবর মাড়েয়া আউলিয়ার ঘাট ও ইউপি কার্যালয়ে খোলা তথ্যকেন্দ্রে আসার পর মরদেহের ছবিসহ বাইরের নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দিয়ে লাশ সনাক্তের পর হস্তান্তর করা হয়। উদ্ধারকৃত লাশগুলো হলো কবিতা রানী (৫০), সুচিত্রা রানী (২২), দীপ বাবু (১০), ঝর্ণা বালা (৫০), বেজ্যেবালা (৫০), দীপশিখা রানী (১০), জগদীশ চন্দ্র (৬০), সুব্রত (২), যতি মৃন্ময় রায় (১৫), গেন্দা রানী (৫০), কনিকা রানী (৪০), সুমিত্রা রানী (৪৫), আদরী রানী (৫০) পুষ্পা রানী (৫০), প্রতিমা রানী (৫০), সূর্যনাথ বর্মণ (১২), হরি কিশোর (৪৫), নিখিল চন্দ্র বর্মণ (৬০), সুশীল চন্দ্র (৬৫), যূথি রানী (১), রাজমোহন অধিকারী (৬৫), রূপালী রানী রায় (৩৮), প্রদীপ রায় (৩০), পারুল রানী (৩২) ও প্রতিমা রানী রায় (৩৯)। এসব মরদেহ মাড়েয়া আউলিয়ার ঘাট, দেবীগঞ্জ করতোয়া সেতু ও দিনাজপুরের খানসামা সেতু ও বীরগঞ্জ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহালয়া উপলক্ষে করতোয়া নদী ট্রলার দিয়ে পার হতে যাচ্ছিল শতাধিক সনাতন ধর্মের মানুষ। এ সময় ট্রলারটি কিছুদূর যাওয়ার পর দুলতে শুরু করলে মাঝি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে নদীর মাঝখানে ট্রলারটি ডুবে যায়। অনেকেই সাঁতরে তীরে উঠলেও শিশুসহ অনেকেই ডুবে যান। ঘটনা তদন্তে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।