রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতাদের।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও বিশিষ্টজনেরা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তারা রানিকে মহৎ এবং উদারতার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। রানির প্রয়াণে সবার প্রথমে শ্রদ্ধা জানিয়ছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁ। তিনি রানিকে কোমল হৃদয়ের অধিকারী আখ্যা দিয়ে ফ্রান্সের একজন বন্ধু হিসেবে স্মরণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন রানির চেয়েও অনেক বেশি কিছু। তিনি একটি যুগের নির্ধারক ছিলেন। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজও রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এক শোকবার্তায় তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার পরে জার্মান-ব্রিটিশ পুনর্মিলনের বিষয়ে তাঁর প্রতিশ্রুতি অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এদিকে এক আবেগঘন শোকবার্তায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, কানাডিয়ানদের প্রতি গভীর ও স্থায়ী ভালোবাসা ছিল রানির। তিনি (রানি) ছিলেন বিশ্বে আমার প্রিয় মানুষদের একজন। আমি তাকে খুব মিস করব। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলেম-আলেক্সান্ডার ও রানি ম্যাক্সিমা বলেন, তিনি (রানি) ছিলেন জ্ঞানী একজন শাসক। তার প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা। এক বিবৃতিতে পুতিন বলেছেন, যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো রানির নামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেশ কয়েকবার রানি এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। মায়ের মৃত্যুতে প্রিন্স চার্লসের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এক বিবৃতিতে পুতিন বলেন, যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো রানির নামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাজ্য সফরকালে রানির সঙ্গে সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করে শোক জানিয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক টুইট বার্তায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছন। এছাড়া রানির মৃত্যুতে সৌদি আরবের রাজা, জাপানের প্রধানমন্ত্রী, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান শোক প্রকাশ করেছেন।