বাড়ছে মৃত্যুও বছরব্যাপী মশা নিয়ন্ত্রণে অর্থ খরচ হলেও আশানুরূপ ফল মিলছে না।
রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি বাড়ছেই। সংক্রমণের পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যুও। গত তিন মাসের হিসাবে সংক্রমণ ও মৃত্যু চলতি সপ্তাহে অনেক বেড়েছে। এ অবস্থার জন্য অপরিচ্ছন্নতা ও সিটি করপোরেশনের অব্যবস্থাপনাকে দূষছেন ভুক্তভোগীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুবাহী দুই প্রজাতির মশার বিস্তার ঘটায় তা ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য শহর ও গ্রামাঞ্চলেও। ডেঙ্গুর থাবা বাড়তে থাকে গত মাস থেকেই। তবে, সেপ্টেম্বরে এক লাফে হিসাব পাল্টে যায়। আগস্টের ৩১ দিনে দেশে ডেঙ্গুতে ১১ জনের মৃত্যু হয়। চলতি সেপ্টেম্বরের প্রথম ৬ দিনেই মারা গেছেন ১০ জন। পুরো আগস্টে তিন হাজার ৫২১ জন আক্রান্ত হলেও সেপ্টেম্বরের ৮ দিনেই এ সংখ্যা অন্তত এক হাজার ৭৭০ জন। আর গত জুলাইতে এক হাজার ৫৭১ জন আক্রান্ত হয়েছেন, আর মারা গেছেন ৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় এডিস মশার বিস্তার বেড়েছে। ঢাকার দুই সিটি করপোশনের ৯৮টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এডিস মাশার লার্ভা পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ টিম। রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি সব চেয়ে বেশি মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে গড়ে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছেন ১০ জনেরও বেশি। ঢাকায় দুই দশক ধরে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। একটা সময় ডেঙ্গু রাজধানীতে সীমাবদ্ধ থাকলেও গত বছল তিনেক ধরে ঢাকার বাইরেও আক্রান্ত হন অনেকে। আর এখন সারাদেশে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশার আবাসস্থল ধ্বংসের বিকল্প দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা । এদিকে, বছরব্যপী দেশের সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলো মশা নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট অর্থ খরচ করলেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার জরিপে, গত দুই বছরের তুলনায় ২০২২ সালে দেশে মশা বেড়েছে। এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের।