Sobujbangla.com | অ্যাটকোর আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।
News Head

অ্যাটকোর আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

  |  ২০:০৫, আগস্ট ৩১, ২০২২

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে হত্যা করা হয়েছে। দেশকে পাকিস্তানীকরণের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। গণমাধ্যমকে তাই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কোন পক্ষে থাকবে’, তথ্য ভবনে অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্স অ্যাটকো আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ১৫ই আগস্ট হত্যা করা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যদের। শোক দিবসের স্মরণে আয়োজিত এই আলোচনা সভা সকাল সাড়ে দশটায় শুরু হবার কথা থাকলেও তথ্যমন্ত্রী সভায় এসে উপস্থিত হন সাড়ে এগারোটায়।  বুধবার (৩১ আগস্ট) তথ্য ভবনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাটকো।  আলোচনা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘আজ আমরা যা কিছু দেখছি, যা কিছু উপলব্ধি করছি কিংবা যা কিছু ভাবছি—সবকিছুর পটপরিবর্তনের দিনটি হচ্ছে ১৫ আগস্ট। আমরা জাতির পিতার নেতৃত্বে যে অর্জন করেছিলাম—এ দেশের স্বাধীনতা, স্বাধীনতার মূল্য কিংবা কেবল একটি পতাকা বা ভৌলোলিক সীমার পরিবর্তন করাই উদ্দেশ্য ছিল না, মূলত বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল একটি শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের মধ্য দিয়ে বাঙালি একটি আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে আবির্ভূত হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশটাকে গণতান্ত্রিকভাবে সাজাতে চেয়েছিলেন। সদ্য স্বাধীন দেশ, তিনি হঠাৎ করে নয় মাসের মধ্যে একটি সংবিধান দিলেন, তিনি একটি গণতান্ত্রিক ধারা স্থাপন করতে চেয়েছিলেন। পাকিস্তানের ২৩ বছরে কোনো গণতন্ত্র ছিল না। পাকিস্তানে যেভাবে একের পর এক পটপরিবর্তন হয়েছিল, বাংলাদেশে যাতে পটপরিবর্তন না হয়, সামরিক শাসন না আসে, তা নিশ্চিত করে তিনি একটি গণতান্ত্রিক ধারা স্থায়ী করতে চেয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান অনেক সেনা কর্মকর্তার ফাঁসি দিয়েছেন। ভোরবেলা কোনো বিচার ছাড়াই তাদের ফাঁসি দেয়া হয়। অথচ তিন মাস পর সামরিক আদালতে রায় হয়। এগুলো প্রমাণসহ বলতে পারি। এমন মানবাধিকার লঙ্ঘন বিশ্ব ইতিহাসে কত জায়গায় হয়েছে, সেটি আমার প্রশ্ন। একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে, শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। আমি নিজেও সেদিন আহত হয়েছিলাম। স্বাগত বক্তব্য অ্যাটকো সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীনতা, যা আমরা পেয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ঘাতকরা চেয়েছিল ইতিহাস পরিবর্তন করে ফেলতে, কিন্তু সেটি করতে পারেনি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বাংলাদেশ আবার বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ হওয়ার পথে এগিয়ে চলছে। তারপরও অপশক্তি সবসময় তা রুখে দেয়ার চেষ্টা করছে। যাতে আমরা সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করতে না পারি। অ্যাটকো চলতি বছর থেকে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নামে মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অ্যাটকোর সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী। সভা সঞ্চালনা করেন অ্যাটকোর সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিজামুল হক নাসিম, শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন অ্যাটকোর সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ