Sobujbangla.com | হবিগঞ্জে আনন্দে মেতেছেন চা-শ্রমিকরা।
News Head
 আবারও সহযোগিতা করল যুক্তরাষ্ট্র, রোহিঙ্গাদের জন্য ২ হাজার কোটি টাকার অজিত সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। আওয়ামী লীগের, সাবেক এমপি আউয়াল গ্রেপ্তার। পুলিশের ওপেন হাউজডে-মতবিনিময় সভা দোয়ারাবাজারে । সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলার আসামি ওসি মঈনকে ছেড়ে দেয়ায় সিলেট ক্ষোভ। ৮ দফা দাবিতে সিলেটে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। গ্রেফতার ২ ধর্ষণ স্কুলছাত্রী অভিযোগে কমলগঞ্জে। উনিশ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত। ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৩৭ লাখ মানুষ, বিধ্বস্ত ৩৫ হাজার ঘরবাড়ি’। এগারো উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা শপথ নিলেন। সিলেটে ওসমানী বিমানবন্দরে আটকা পড়েছে ৬টি ফ্লাইট।

হবিগঞ্জে আনন্দে মেতেছেন চা-শ্রমিকরা।

  |  ১৯:৩২, আগস্ট ২৮, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে দৈনিক মজুরি ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা করায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে হবিগঞ্জের ২৩টি চা বাগানের শ্রমিকরা আনন্দ উৎসব করছেন। তারা কাজে যোগ দেবেন আগামীকাল সোমবার। রোববার সকালে বাগানগুলোতে আনন্দ মিছিল বের করেন চা শ্রমিকরা। এ ছাড়া বাগানের বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হয়ে তারা আনন্দ উৎসব করছেন। দুপুর ১২টায় চুনারুঘাট উপজেলার চান্দপুর চা বাগানে দেখা যায়, শ্রমিকরা কয়েকটি স্থানে জড়ো হয়ে নৌকা প্রতীক হাতে নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। থেমে থেমে মিছিল ও সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে আনন্দ উৎসব করছেন। মিছিলে অংশ নেওয়া চা শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জের লস্করপুর ভ্যালির ২৪টি চা বাগানের মধ্যে শুধু লস্করপুর বাগানের কিছু শ্রমিক রোববার কাজে যোগ দিয়েছেন। বাকি ২৩টি বাগানের শ্রমিকরা আনন্দ উৎসব করছেন। তারা সোমবার কাজে যোগ দেবেন। চান্দপুর চা বাগানের শ্রমিক অনীল মুড়া বলেন, না খেয়ে থেকে ১৫ দিন কর্মবিরতি পালন করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের মজুরি বাড়িয়ে দিয়েছেন। এজন্য আমরা আনন্দ মিছিল করছি। কাল কাজে যোগ দেব। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও আমরা শেখ হাসিনার পাশে থাকব। বাগানটির পঞ্চায়েতের সভাপতি সাধন সাঁওতাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শ্রমিকদের মা, তার দেওয়া সিদ্ধান্তকে আমরা সাদরে মেনে নিয়েছি, তাই সাধারণ শ্রমিকরা আনন্দ মিছিল করছেন। ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলনে নামেন হবিগঞ্জের লস্করপুর ভ্যালির ২৪টিসহ দেশের ১৬৬ চা বাগানের শ্রমিকরা। দিনে দুই ঘণ্টা করে টানা চারদিন পালন করা হয় কর্মবিরতি। এরপর ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পুরোদমে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন চা বাগানের শ্রমিকরা। ১৯ আগস্ট রাতে মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার বিষয়ে একটি চুক্তি হলেও সেটি প্রত্যাখ্যান করে তারা আন্দোলন চালিয়ে যান। কয়েক দফা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও এ সমস্যার সমাধান হয়নি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ