Sobujbangla.com | শিক্ষককে অধ্যক্ষের নির্যাতন, প্রতিবাদে উত্তাল ক্যাম্পাস।
News Head

শিক্ষককে অধ্যক্ষের নির্যাতন, প্রতিবাদে উত্তাল ক্যাম্পাস।

  |  ২১:৫৫, আগস্ট ২৫, ২০২২

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার এম. সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কর্তৃক কলেজের সহকারী অধ্যাপক ইকবাল হোসেনের উপর শারিরীক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে। এঘটনায় প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস। বৃহস্পতিবার দুপুরে এম সাইফুর রহমান কলেজের শিক্ষকগণ ও ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ ইকবাল হোসেন এর উপর হামলার প্রতিবাদে কলেজের অধ্যক্ষের বিচার ও অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মানববন্ধনে কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মুর্শেদ আলম বলেন কলেজের অধ্যক্ষ নিজের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত, কলেজের উন্নয়ন নিয়ে ওনার কোনো পরিকল্পনা নেই।তিনি আমার ৪ মাসের বেতন বন্ধ করে রেখেছেন। ঈদ বোনাস ও আমাকে দেওয়া হয় নাই। সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রশীদ (সেত্রুেটারী স্টাফ কাউন্সিল) বলেন, কলেজের বতর্মান অধ্যক্ষ কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে। গতকাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ ইকবাল হোসেনের উপর হামলা করেন তিনি। পরে ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসা সেবা নেন ইকবাল হোসেন। এ বিষয়ে নির্যাতনের স্বীকার মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন আমি গতকাল অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম স্যারের সাথে কলেজ ও ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নয়ন নিয়ে কথা বললে তিনি আমাকে গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে আমার উপর হামলা করেন। পরে আমি ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আসি। এখনও আমি অসুস্থ। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণরের দাবী জানাচ্ছি। এছাড়াও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রশিদ, জয়নাল আবেদীন, জাহাঙ্গীর সেলিম,শামীম আরা বেগম, বিপ্রেশ রঞ্জন রায়। শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উজ্জ্বল চৌধুরী, কমলেশ বিশ্বাস, আশরাফ হোসেন, সব্যসাচী তালুকদার প্রমুখ। মানববন্ধনে অংশ গ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন- আরিফ ইসলাম,সাজিদ হোসেন ফারজানা আক্তার উর্মি, আবু তালেব সিদ্দিক। তারা বলেন, আমরা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নজরুল ইসলাম স্যার কে স্যার বলতে আমাদের লজ্জা লাগে। তিনি আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন যা মুখ দিয়ে প্রকাশ করার মতো নই। এছাড়াও তিনি আমাদের কাছ থেকে ভর্তির সময়, উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য ফ্রি,মাসিক ফ্রি, ইউনিক আইডি ফ্রি অতিরিক্ত আদায় করেন এবং অনেক সময় রশিদ ছাড়া টাকা আদায় করেন। সুতরাং আমরা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম স্যারের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমাদের দাবী আদায়ের আগ পযর্ন্ত আমরা ক্লাসে বর্জন করলাম।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ