তাজপুরের প্রবাসী পরিবারের ট্রাজেডি ‘দুর্ঘটনা’।
ওসমানীনগরের তাজপুরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুর ঘটনাটি নিছক একটি দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানি সিলেট জেলার বিদায়ী পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেছেন, আগামী দুই একদিনের মধ্যে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে বিষয়টি পুরোপুরি জানা যাবে। মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করার জন্য সাংবাদিকদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় নেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খাদ্যে বিষক্রিয়া বা কোন পক্ষ তাদের হত্যা করতে পারে- এমন কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনার দিন ওই বাসার জেনারেটর টানা কয়েক ঘন্টা চলেছে। তারা যে ঘরে ছিলেন ওই ঘরে কোন ভেন্টিলেটরও ছিলনা। আর তাই আমাদের ধারণা, ওই বদ্ধঘরে ধোঁয়ায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তারপর মৃত্যু। উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, ওসমানীনগরের ধিরারাই গ্রামের রফিকুল ইসলাম যুক্তরাজ্য থেকে সপরিবারে দেশে ফেরেন গত ১২ জুলাই। প্রায় এক সপ্তাহ ঢাকায় থেকে ১৮ জুলাই ওসমানীনগরের তাজপুরে ভাড়া বাসায় ওঠেন। পরে ২৬ জুলাই সকালে পুলিশ ভাড়া বাসার একটি কক্ষের দরজা ভেঙে তাঁকে, ছেলে সাদিকুল ও মাইকুল, স্ত্রী হুসনারা ও একমাত্র মেয়ে সামিরাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক রফিকুল ও ছেলে মাইকুলকে মৃত ঘোষণা করেন। মেয়ে সামিরা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে প্রায় ১১ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এই মৃত্যুর ঘটনায় সারাদেশ, এমনকি দেশের বাইরেও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।